বিশেষত ঠোঁটের ত্বক তুলনামূলক পাতলা হওয়ায় তার উপরে সবার আগে ও বেশি প্রভাব দেখা দেয়। ফলে সহজেই ঠোঁট শুষ্ক ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে। লিপবাম বা পেট্রোলিয়াম জেলি সাময়িকভাবে ঠোঁটকে কোমল রাখলেও এ সময়ে ঠোঁটের প্রয়োজন সঠিক ও পুষ্টিকর প্রাকৃতিক উপাদানে ছোঁয়া। জেনে নিন কোন তিনটি প্রাকৃতিক উপাদানে ঠোঁটের কোমলতা বজায় থাকবে।
সুস্বাস্থ্য রক্ষায় ও মজবুত হাড়ের গঠনে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-বি২ ও বি১২ সমৃদ্ধ দুধ অপরিহার্য। শুধু সুস্থতার জন্যেই নয়, ত্বকের পরিচর্যা ও যত্নেও দুধ ব্যবহার করা যায়। বিশেষত ঠোঁটের নাজুক ও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ দুধ খুবই ভালো কাজ করে।
ঠোঁটে ব্যবহারের জন্য এক টেবিল চামচ পরিমাণ দুধে আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে ঠোঁটে ম্যাসাজ করতে হবে এবং পাঁচ মিনিট রাখতে হবে। এরপর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।
উপকারী ফল বেদানাতে রয়েছে প্রাকৃতিক ব্লিচিং ধর্ম। যা ঠোঁটের কালচেভাবকে দূর করার পাশাপাশি ঠোঁটে হালকা ও মিষ্টি গোলাপি আভা তৈরি করে। শুধু তাই নয়, ঠোঁটের ত্বককে শুষ্ক হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতেও কাজ করে এই ফলের রস।
ব্যবহারের জন্য বেদানা ফলের রস একটি তুলার বলে নিয়ে ঠোঁটের উপরে ম্যাসাজ করে ১৫ মিনিট রাখতে হবে। শুকিয়ে আসলে পরিষ্কার কাপড়ের সাহায্যে ঠোঁট মুছে নিতে হবে।
প্রায়শ ঠোঁটের চামড়া শুকিয়ে অসমান ত্বকের সৃষ্টি করে। এছাড়া ঠোঁটের মরা চামড়া ঠোঁটের ত্বককে অনুজ্জ্বল করে তোলে। যে কারণে স্ক্রাবের সাহায্যে ঠোঁটের পুরনো ও মরা চামড়া দূর করা ঠোঁটের পরিচর্যায় অনেকখানি ভূমিকা রাখে। স্ক্রাবিং এর জন্য চিনি সবসময়ই প্রথম দিকে থাকবে।
এই স্ক্রাবটি তৈরির জন্য আধা চা চামচ মধু ও চিনি মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে চিনি যেন গলে না যায়। এই মিশ্রণ ঠোঁটের উপরে খুব আলতোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে ১০ মিনিট। এতে করে ঠোঁট ও ঠোঁটের আশেপাশের অংশ থেকে মরা চামড়া দূর হয়ে যাবে এবং ঠোঁট তুলনামূলক অনেকটা কোমল হয়ে উঠবে। এরপর হালকা কুসুম গরম পানিতে ঠোঁট ধুয়ে লিপবাম ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুন: পুরনো নিয়মে চালের গুঁড়ায় ত্বকের যত্ন
আরও পড়ুন: ঠোঁটের সৌন্দর্যে দারুচিনি