নখ ভেঙে যাওয়ার সমস্যাটি খুবই কমন। বিশেষত যারা হাতের লম্বা নখ রাখতে পছন্দ করেন, তাদের মাঝে নখ ভেঙে যাওয়ার সমস্যাটি বেশি দেখা দেয়। নখের সুস্থতা ও দৃঢ়তায় কিছু সাধারণ নিয়ম জেনে রাখা ও সেগুলো মেনে চলা প্রয়োজন। এতে করে বাড়তি ঝামেলা ছাড়াই নখের ব্যাপারে নিশ্চিন্তে থাকা সম্ভব হয়।
লম্বা নখ রাখতে পছন্দ করলেও, শক্ত নখ পেতে চাইলে অবশ্যই নখ ভালোমতো ও পছন্দনীয় আকৃতিতে কেটে রাখতে হবে। নখ যত ছোট থাকবে, তার স্থায়িত্বও তত বেশি হবে। লম্বা নখ খুব সহজেই ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই অতিরিক্ত লম্বা নখের পরিবর্তে মাঝারি আকৃতির নখ সঠিক আকৃতিতে কেটে রাখতে হবে।
অনেকেই নিয়মিত নেইলপলিশ ব্যবহার করেন। একবার নেইলপলিশ ব্যবহারের পর ভিন্ন রঙের নেইলপলিশ পুনরায় ব্যবহারের মাঝে একেবারেই গ্যাপ রাখেন না। নেইলপলিশে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল উপাদান খুব সহজেই নখকে দুর্বল করে তোলে। এতে নখ ভঙ্গুর হয়ে যায়। এ কারণে একবার নেইলপলিশ ব্যবহারের পর অন্তত এক সপ্তাহ–দশদিন পর্যন্ত নেইলপলিশ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
নখের পরিচর্যায় কিংবা ম্যানিকিউর করার ক্ষেত্রে অনেকেই কিউটিকল ছেঁটে ফেলেন, যা একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। বরং এই কিউটিকল নখের চারপাশে প্রতিরক্ষামূলক আস্তরণ তৈরি করে, যা নখকে সুরক্ষিত রাখতে খুবই জরুরি। কিউটিকল কেটে ফেলার ফলে ইনফেকশনসহ নখের স্থানগত সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই নখের সুস্থতার জন্য কিউটিকলের দিকেও সমানভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।
আপনি কীভাবে নখকে ফাইল করছেন তার উপরেই নির্ভর করবে নখ ভেঙে যাওয়া ও নখ শক্ত হওয়া। নখ ফাইলিং করার সঠিক নিয়মটি হলো, একই দিকে ফাইলিং করা এবং প্রতি স্ট্রোকের আগে ফাইল উঠিয়ে নিয়ে এরপর পুনরায় ব্যবহার করা। এতে করে নখ ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই থাকে না। তবে যে ফাইলটি ব্যবহার করতে হবে, সেটা খুব বেশি গ্রেইনযুক্ত হওয়া যাবে না। মাঝারি ধরনের গ্রেইনযুক্ত ফাইল ব্যবহার নখের জন্য সবচেয়ে ভালো।
নখ শক্ত রাখতে চাইলে এই নিয়মের ব্যতিক্রম করা যাবে না একেবারেই। নখ ও নখের আশেপাশের অংশ যতবেশি পানির সংস্পর্শে আসবে, নখ ততবেশি দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে পড়বে। অতিরিক্ত আর্দ্রতা শোষণ করে নেইলবেডস প্রসারিত হয় এবং পরবর্তীতে আর্দ্রতা শুকিয়ে গেলে নখ একেবারেই হালকা ও পলকা হয়ে যায়। এ কারণে থালাবাসন কিংবা ফল ও সবজি পরিষ্কার করার সময় রাবারের হ্যান্ডগ্লভস পরে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: হাতের কোমলতায় অ্যালোভেরার স্ক্রাব