টাকা জমান কৌশলপূর্ণ উপায়ে!

পরামর্শ, লাইফস্টাইল

ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল | 2023-08-31 21:57:33

টাকা আয় করা যতটা কঠিন, টাকা জমানো তার চাইতে বেশি কঠিন একটা কাজ। মাসের শুরুতে বেতন হাতে আসার কয়েকদিনের মধ্যেই বেতনের বড় একটা অংশ নেই হয়ে যায়। প্রয়োজনীয় খাতে খরচ তো রয়েছেই, অপ্রয়োজনীয় বহু খরচের ফলেই মূলত একসাথে অনেক টাকা ব্যয় হয়ে যায়। ফলে টাকা জমানো কষ্টকর হয়ে ওঠে।

এক্ষেত্রে কিছু কৌশল ব্যবহার করতে হবে। স্বাভাবিক দৃষ্টিতে এই পদ্ধতিগুলোকে সাধারণ মনে হলেও, এই পদ্ধতিগুলোই বড় অংকের টাকা জমাতে সাহায্য করবে সবচেয়ে বেশি।

এটিএম কম এমন ব্যাংক খুঁজে বের করুন

ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে সবাই প্রথমেই এমন ব্যাংক পছন্দ করে, যে ব্যাংকের এটিএম বুথের সংখ্যা বেশি এবং প্রায় সকল এলাকায় বুথ পাওয়া যায়। এই কাজটি করা যাবে না। খুঁজে বের করতে হবে এমন ব্যাংক, যে ব্যাংকের এটিএম বুথ তুলনামূলক কম। বুথের অপ্রতুলতার কারণে সচরাচর টাকা তোলা হবে না, এতে অপ্রয়োজনীয় খরচ কমে যাবে।

pic

কার্ড ঘরেই থাকুক

খেয়াল করে দেখবেন সাথে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড থাকলেই নানা ধরনের জিনিসপত্র কেনাকাটা করা হয়, এতে বাহুল্য খরচ হয়। তাই নির্দিষ্ট কারণ ব্যতীত কার্ড না নিয়ে বের হওয়া হবে বুদ্ধিমানের মতো কাজ। নিজের কাছে প্রয়োজন মাফিক ক্যাশ টাকা রাখতে হবে সবসময়।

ছোট নোট রাখুন কাছে

অবাক হয়ে অনেকেই বলেন, দুইশ টাকা খরচের জন্য একটি এক হাজার টাকা ভাংতি করলে কীভাবে যেন সবগুলো টাকাই খরচ হয়ে যায়, এরপর হাতে পঞ্চাশ টাকাও থাকে না। ব্যাপারটা হাস্যকর মনে হলেও, এর পেছনে কাজ করে হিউম্যান সাইকোলজি। এক হাজার টাকা হাত থাকলে মনে হতে থাকে অনেক টাকা। ফলে দুইশ টাকা খরচ করার পর হাবিজাবি কেনাকাটা করার দিকে আকর্ষণ কাজ করে। এভাবেই পুরো টাকা শেষ হয়ে যায়। এ কারণে এক হাজার টাকা পঞ্চাশ-একশত টাকার নোট করে রাখতে হবে। এতে খরচ অনেক কম হবে, কারণ নোট গুণে খরচ করতে হবে।

নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আলাদা রাখুন

বেতন হওয়ার সাথে সাথেই সেটা থেকে খরচ করার আগে সেটা থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আলাদা করে রাখুন এবং মনে মনে সিদ্ধান্ত নিন যে- সে টাকা থেকে খরচ করবেন না। এতে করে প্রতি মাসেই নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমবে।

pic

খেলার মতো করে টাকা জমান

টাকা জমানোকে খেলার মতো করে ভাবুন। প্রথম সপ্তাহে প্রতিদিনের খরচ থেকে কত টাকা বাঁচাতে পেরেছেন সেটার উপর ভিত্তি করে দ্বিতীয় সপ্তাহে তার চেয়ে কিছু বেশি টাকা জমান। তৃতীয় ও চতুর্থ সপ্তাহে একইভাবে কিছুটা বেশি। নতুন মাসে আবারো প্রথম মাসের সংখ্যা থেকে শুরু করুন। এভাবে প্রতি মাস শেষে ভালো পরিমাণ টাকা জমানো সম্ভব হবে।

কেনাকাটার পেইজ ও সাইট ঘুরাঘুরি বন্ধ করুন

সবকিছু অনলাইন ভিত্তিক হয়ে যাওয়ার ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন জিনিস কেনাবেচার পেইজ ও গ্রুপেই পাওয়া যায় হরেক জিনিস। সাথে বিভিন্ন ধরনের সাইট তো আছেই। অনেকেই সময় কাটানোর জন্য কিংবা কৌতূহলবশত এইসকল পেইজ ও সাইট দেখে এবং ঝোঁকের বশে কেনাকাটা করে ফেলে। এই কাজটি বন্ধ করলেই অহেতুক কেনাকাটার হার কমে যাবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর