খুবই অস্বস্তিকর একটি সমস্যা হলো মুখে বাজে ও উৎকট গন্ধ দেখা দেওয়া। এর ফলে অপ্রীতিকর সমস্যায় পড়তে হয় অনেক সময়। মুখে বাজে গন্ধের সমস্যাটি বহু কারণেই দেখা দিতে পারে। অবশ্যই দাঁতের সঠিক যত্ন এ সমস্যাটিকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দূর করতে পারে। তবে এর সাথে আরও কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি, যা সমস্যাটি থেকে আপনাকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে কাজ করবে।
খাবারের কণা দাঁতের মাঝে আটকে থাকা কোন অস্বাভাবিক বিষয় নয়। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই এমনটা হয় এবং এই খাদ্যকণা থেকে জন্মানো জীবাণু পরবর্তীতে মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। তাই প্রতিবার খাবার খাওয়ার পর দাঁত মাজা সম্ভব না হলেও দৈনিক অন্তত দুইবার অবশ্যই দাঁত মাজতে হবে। সাথে দাঁত ফ্লস করতে পারলে আরও উপকার পাওয়া যাবে।
শুধু দাঁত মাজলেই যে মুখের ভেতরের সব জীবাণু চলে যাবে এমনটা নয়। প্রতিবার দাঁত মাজার সময় জিভ পরিষ্কারের দিকেও নজর দিতে হবে। জিভের ওপর জমা খাবারের কণার আস্তরণ থেকে মুখে বাজে গন্ধের উৎপত্তি হয় অনেক সময়। এ কারণে দাঁত মাজার সময়েই জিভ পরিষ্কার করতে হবে মনে করে।
অনেকেই হয়তো এ বিষয়ে অবগত নন, হজমের সমস্যার কারণও মুখে বাজে গন্ধের সমস্যা হতে পারে। পেট পরিষ্কার না হলে এই সমস্যা বাড়ে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পেট পরিষ্কার থাকলে, হজমশক্তি স্বাভাবিক থাকলে মুখে বাজে গন্ধজনিত সমস্যা খুব দ্রুত দূর হয়ে যাবে।
ভিটামিনের অভাবজনিত কারণে মুখের ঘা বা কোন কারণে ক্ষত তৈরি হলে, সেটা থেকেও মুখে বাজে গন্ধের সৃষ্টি হয়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক থাকলে এই সমস্যাটি দ্রুত সেরে যায়। তাই মুখের ভেতরে কোন ঘা বা ক্ষত থাকলে সেটা দ্রুত ভালো করার জন্য কাজ করতে হবে।
পানি হালকা গরম করে তাতে অল্প পরিমাণ লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করে মুখের ভেতরের অংশ পরিষ্কার করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে পানি খুব বেশি গরম করা যাবে না। এভাবে কুলকুচি করার ফলে মুখের ভেতরের অংশ পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি জীবাণু দূর হবে এবং ক্ষতিকর জীবাণু উৎপন্ন হতে পারবে না। দৈনিক একবার এই নিয়মে কুলকুচি করতে পারলে মুখে বাজে গন্ধ দেখা দেবে না।
মুখের ভেতরের অংশে আর্দ্রতা ভাব বজায় থাকলে বাজে গন্ধ কম দেখা দেয়। ফলে স্বাভাবিক নিয়মেই মুখের ভেতরের অংশ শুষ্ক হয়ে উঠলে তা থেকে উৎকট গন্ধের প্রভাব দেখা দেয়। এই সমস্যা তাড়াতে নিজের কাছে দারুচিনি রাখতে হবে। মুখের ভেতরে শুষ্কভাব দেখা দিলে বা গন্ধের প্রভাব দেখা দিলেই অল্প পরিমাণ দারুচিনি চিবিয়ে নিতে হবে। এতে বাজে গন্ধ দেখা দেবে না। দারুচিনির মিষ্টিভাব পছন্দ না হলে দারুচিনির পরিবর্তে লবঙ্গও রাখতে পারেন।