সারাদিনের দৌড়ঝাঁপ শেষে কাজের ক্লান্তি নিয়ে রাতে ঘুমাতে গেলেও কোনভাবেই ঘুম আসতে চায় না। বিছানায় এদিক থেকে ওদিকে করতে করতেই ঘন্টা পার হয়ে যায়, ঘড়িতে সময় এগিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু ঘুমের দেখা পাওয়া যায় না। এভাবে করতে করতে বেশিরভাগ সময় কেটে যায় না ঘুমিয়েই। পরবর্তীতে ঘুম আসলেও ঘুম পরিপূর্ণ হয় না, অর্থাৎ আট ঘণ্টার কম ঘুমিয়েই উঠে যেতে হয়।
এতে করে শরীরে ঘুমের চাহিদা রয়েই যায়। যার প্রভাবে সারাদিন ভর ঝিমানিভাব কাজ করে। তবে দিন পার করে রাতে ঘুমাতে গেলেই ঘুম নেই হয়ে যায় আবার। এই সমস্যাটি বহু কারণেই দেখা দিতে পারে।
সারাদিনের কাজের চাপ, নানান বিষয় নিয়ে চিন্তা শেষে ঘুমানোর সময় মস্তিষ্ক চাপের মুখে পড়ে। ফলে মস্তিষ্ক তার প্রয়োজনীয় বিশ্রাম পায় না এবং ঘুম আসে না। এই সমস্যাটি খুব সহজ একটি সমাধান আছে। ঘুমাতে যাওয়ার পর ঘুম না আসলে বই পড়া শুরু করেন। পুরনো ও পরিচিত এই একটি কাজই দ্রুততম সময়ে ঘুম এনে দেবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এনওয়াইসি স্লিপ ডাক্তার এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাইকোলজিস্ট জ্যানেট কেনেডি জানান, সারাদিনের কাজের চিন্তা বা কোন মানসিক চাপ যা ঘুমকে দূরে রাখে, তা থেকে মনকে সম্পূর্ণ অন্য দিকে সরিয়ে রাখার ক্ষেত্রে বই সবচেয়ে ভালো কাজ করে এবং বই পড়া দ্রুত ঘুম আনতেও কার্যকর।
জ্যানেট জানান, ঘুম না আসলে এদিক সেদিক করার ফলে শরীরে টেনশন তৈরি হয়, যা থেকে অ্যাড্রেনালাইন (Adrenaline) নিঃসৃত হয়। তাই মনকে এমন দিকে রাখতে হবে, যা আকর্ষণীয় হলেও মনকে খুব বেশি কব্জা করে রাখবে না। এমন ক্যাটাগরিতে ফিকশনাল বই চমৎকার।
ঘুমানোর আগে বই পড়ার জন্য বেড সাইট ল্যাম্প বেছে নিতে হবে। যার আলো খুব বেশি উজ্জ্বল নয় কিন্তু বই পড়ার জন্য ঠিক। এছাড়া এই আলোর মাত্রা মস্তিষ্ককে সংকেত পাঠায় মেলাটনিন উৎপন্ন বন্ধ করার জন্য। যা ঘুম আনতে সাহায্য করে।
এছাড়া প্রতিদিনের নিয়মকে এমনভাবে ঠিক করে আনতে হবে, যেন রাতে নির্দিষ্ট সময়ের মাঝেই ঘুম চলে আসে। এতে করে ঘুম না আসা নিয়ে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হবে না।
আরও পড়ুন: ত্যাগ করুন অতিরিক্ত ঘুমের অভ্যাস