করোনাভাইরাস সম্পর্কিত সাম্প্রতিক ৫ জিজ্ঞাসা

স্বাস্থ্য, লাইফস্টাইল

ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল | 2023-08-29 22:13:10

করোনাভাইরাসকে সাধারণ ফ্লু বলে এড়িয়ে যাওয়ার কোন অবকাশ নেই। প্রতিদিনের করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সেটাই নির্দেশ করছে। যেহেতু এই ভাইরাসটি একেবারেই নতুন এবং এখনও এই ভাইরাস নিয়ে পরীক্ষা ও গবেষণা হচ্ছে, তাই সঠিক তথ্যের ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। করোনাভাইরাস ও এ সম্পর্কিত সাম্প্রতিককালীন পাঁচটি প্রশ্ন ও তার উত্তর জানিয়েছে সিএনএন হেলথ।

প্রশ্ন ১: নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন নেওয়া হলে কি করোনাভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে?

কিছু ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস থেকে নিউমোনিয়া দেখা দিতে পারে। তবে নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে কোন সাহায্য করবে না। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল  জানাচ্ছে, নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন মানুষদের শুধুমাত্র বিশেষ কিছু ব্যাকটেরিয়া থেকে সুরক্ষিত রাখে। কিন্তু সেগুলো করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট নিউমোনিয়া থেকে রক্ষা করতে পারে না। ঠিক যেমনভাবে অন্যান্য অ্যান্টিবায়োটিক্স করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় কার্যকর নয়।

প্রশ্ন ২: করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য দ্রুত কোন ওষুধ তৈরি করা যায় না?

corona

বর্তমানে গবেষক ও বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাস নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা ও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। এই ভাইরাস খুব অল্প সময়ের মাঝে তার জিনের পরিবর্তন আনতে পারে। সেই সাথে পরিবর্তন আসে তার লক্ষণ প্রকাশের ধরনেও। তবে বিজ্ঞানীরা আশাবাদী, আগামী এক বছর কিংবা তার চেয়ে কিছু বেশি সময়ের মাঝেই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা সম্ভব হবে। এদিকে হার্ভাড মেডিক্যাল স্কুল জানাচ্ছে, অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ ভাইরাসের কোন বিশেষ একটি অংশকে টার্গেট করতে পারে, যা তার জীবনচক্রকে রোধ করতে সক্ষম হবে।

প্রশ্ন ৩: ফ্লু ও করোনাভাইরাস কি একই সঙ্গে হতে পারে? ফ্লুয়ের টেস্ট পজিটিভ আসার মানে কি করোনাভাইরাস নেই?

corona

সিএনএন হেলথের সিনিয়র নিউজ রাইটার হলি ইয়ানের মতে পাঠকদের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি পাওয়া গিয়েছে এই প্রশ্নটি।

দুঃখজনক বিষয়টি হল- ফ্লু ও করোনাভাইরাস একইসাথে হবে না, এর পেছনে কোন যুক্তিযুক্ত কারণ নেই। তার মানে ফ্লুয়ের পজিটিভ ফল আসলেও তার সাথে করোনাভাইরাসেও আক্রান্ত হতে পারে রোগী। ফ্লু ও করোনাভাইরাসের কিছু লক্ষণ একই রকম। বিশেষত জ্বর ও কাশির সমস্যা। তবে ফ্লু ও করোনাভাইরাসের লক্ষণ প্রকাশের মাঝে আলাদা যেটা হল, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে রোগীর শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। আবার কিছু ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস বহনকারীর মাঝে কোন ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায়নি। তবে তাদের কাছ থেকেও করোনাভাইরাস ছড়ায়। মূলত এ কারণে গবেষক ও চিকিৎসকেরা নোভেল করোনাভাইরাস নিয়ে বেশি চিন্তিত।

প্রশ্ন ৪: বাড়তি খাবার সংরক্ষণ করা শুরু করা উচিত কি?

corona

প্রতিদিনই নতুন নতুন দেশে করোনাভাইরাসের খোঁজ মিলছে। পরিস্থিতি যেকোন সময় যেকোন দেশ ও স্থানের জন্যে মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। সে কারণে দুই সপ্তাহ থেকে ৩০ দিনের মতো সাধারণ খাবার ও শুকনো খাবার সংরক্ষণ করে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে। আশা করা যায়, খারাপ পরিস্থিতি যেন না হয়। তবে বাড়তি খাবার সংরক্ষণ করে রাখা সবসময়ই কাজের বিষয়।

প্রশ্ন ৫: ডিসইনফেক্ট্যান্ট স্প্রে করলে কি সুরক্ষিত থাকা সম্ভব হবে?

অ্যালকোহল ও ক্লোরিন বেসড ডিসইনফেক্ট্যান্ট হাতসহ পুরো শরীরে স্প্রে করেও লাভ হবে না, যদি শরীরের ভেতরে ভাইরাস আগে থেকেই প্রবেশ করে থাকে, এমনটাই জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে ডিসইনফেক্ট্যান্ট স্প্রে মিউকাস মেম্ব্রেন্সের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে। সঠিক নিয়ম ও পরিমিত পরিমাণে ব্যবহার করা যাবে ডিসইনফেক্ট্যান্ট এবং এটা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখতে কিছু ক্ষেত্রে কার্যকর।

এ সম্পর্কিত আরও খবর