করোনাভাইরাস প্রতিরোধে হাতের সাহায্যে মুখমণ্ডল স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে একদম প্রথম থেকেই। হাত পরিষ্কার থাকলেও, মুখে হাতের সাহায্যে স্পর্শ করা যাবে না। কারণ করোনাভাইরাস ছড়ায় মূলত চোখ, নাক ও মুখের সাহায্যে। যেহেতু হাতের মাধ্যমেই সারাদিনে বিভিন্ন কাজ করা হয় এবং সবসময় হাত পরিষ্কারও থাকে না, তাই হাতের সাহায্যে মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা হবে সবচেয়ে ভালো প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ।
কিন্তু হাতের সাহায্যে মুখ স্পর্শ না করার ব্যাপারটি যতটা সহজ মনে করা হচ্ছে, আদতে ঘটনা একেবারেই উল্টো। সারাদিনে খেয়াল বা বেখেয়ালে বহুবার মুখ স্পর্শ করে থাকি আমরা। এই অভ্যাসটি অবশ্যই একদিনে গড়ে ওঠে না এবং একদিনের মাঝেই অভ্যাসটি বাদ দেওয়া সম্ভব নয়। তাই হাতের সাহায্যে মুখ স্পর্শ করার অভ্যাসটিকে দূর করার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
খেয়াল করে দেখবেন, বেশিরভাগ সময় অকারণে মুখের বিভিন্ন স্থান চুলকানো হয় হাতের সাহায্যে। হয়ত মুখ সেভাবে চুলকাচ্ছেও না, কিন্তু অভ্যাসবশত করা হয় এই কাজটি। অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হাতের সাহায্যে মুখে না চুলকিয়ে অন্য হাতে, হাতের আঙুলে, কনুইতে চুলকানোর অভ্যাস করতে হবে। যখন হাত মুখের কাছাকাছি যাবে, হাত সরিয়ে বা নামিয়ে নিতে হবে। অভ্যাসের এই পরিবর্তনটি একদিনেই গড়ে উঠবে না। তবে দিনের মাঝে কয়েকবার এমন করা হলে স্বাভাবিকভাবেই একটা সময়ে অভ্যাসে পরিবর্তন চলে আসবে।
খুব সহজ ও সাধারণভাবে যদি মুখে হাত দেওয়ার অভ্যাসটিকে দূর করতে চান তবে হাতকে সবসময় ব্যস্ত রাখার পদক্ষেপ নিতে হবে। ছোট কাঠের বল, প্লাস্টিক বা রাবারের বল, কলম, আংটিসহ হাতের তালুর ভেতর রাখা যাবে এমন জিনিস হাতের কাছে রাখতে হবে। যা সহজেই হাতকে ব্যস্ত রাখতে পারবে। এতে করে হাতের সাহায্যে মুখ স্পর্শ করার বিষয়টি আর মাথায় কাজ করবে না।
যখন কোন কিছু বারণ করা হয় বা কোন কাজ করার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, তখনই যেন সে কাজটি করার জন্য অতিরিক্ত আগ্রহ জন্মে। ঠিক এমনটাই হয় হাতের সাহায্যে মুখ স্পর্শ করা বারণ করার পরে। তখন যেন আরও বেশি করে মুখ হাত চলে যায়। তাই এই বিষয়টি খুব বেশি প্রাধান্য না দিয়ে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে হবে।
যাদের দাঁতে নখ কাটার প্রবণতা রয়েছে, এই অভ্যাসটি দূর করার জন্য তাদের কড়া গন্ধযুক্ত নেইলপলিশ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। ঠিক একইভাবে হাতের সাহায্যে মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকার জন্য হাতে উপরিভাগে আঙ্গুলের কাছাকাছি স্থানে করা সুগন্ধি ব্যবহার করতে হবে। এতে করে বেখেয়ালে হাত মুখের কাছে আসলেও সুগন্ধির গন্ধ মনে করিয়ে দেবে হাত মুখে স্পর্শ করানো যাবে না।