সহজ যে নিয়মগুলো রোধ করবে করোনাভাইরাস

পরামর্শ, লাইফস্টাইল

ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল | 2023-09-01 01:19:02

পুরো বিশ্বজুড়ে তো বটেই অস্থিরতা ইন্টারনেটের সকল খবরেও। করোনাভাইরাস সম্পর্কিত সকল বিষয়েই এখন বাড়ছে উত্তেজনা, দুশিন্তা। তবে নিজেকে ও পরিবারের মানুষদের সুরক্ষিত রাখতে চাইলে খুব সহজ কিছু নিয়ম মেনে চলাই যথেষ্ট। ভয় নয়, সঠিক নিয়মই পারবে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করতে।

হাত ধুতে হবে অবশ্যই

প্রথমেই আসবে হাত পরিষ্কার রাখার কথা। হাত ধোয়ার জন্য বিশেষ কোন সাবান কিংবা লিকুইড সোপের প্রয়োজন নেই। সাধারণ সাবানই যথেষ্ট। তবে অবশ্যই ২০-৩০ সেকেন্ডে সময় নিয়ে আঙ্গুলের মাঝের অংশে ও নখের নিচের অংশে পরিষ্কার করে হাত ধুতে হবে।

বিকল্প হিসেবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার

হাতকে জীবাণুমুক্ত ও পরিষ্কার রাখতে সাবানের সাহায্যে হাত ধোয়া হবে সবচেয়ে সঠিক নিয়ম। এরপরে আসবে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার। তবে খেয়াল রাখতে হবে- প্রয়োজনের সময়েই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে এবং ৬০% অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজারে সবচেয়ে ভালো কাজ হবে।

পরিষ্কার রাখুন গহনাও

corona

শুধু হাতকে পরিষ্কার করলেন, কিন্তু হাতে ও কানে গলায় পরিহিত গহনা অপরিষ্কার থাকল, তাতে কিন্তু কোন লাভ নেই। তাই সবসময় পরা হয় এমন গহনাগুলোও সাবান ও স্যাভলনের সাহায্যে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

দরজা-জানালার হাতল ও ইলেকট্রনিক পণ্যে জীবাণুনাশক ব্যবহার

corona

হাতকে জীবাণু থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রাখতে চাইলে এই বিষয়ের দিকেও নজর দিতে হবে। যেহেতু দরজা-জানালার হাতল ও বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক পণ্য ব্যবহার করা হয় সবসময়, এগুলোও জীবাণুনাশক পণ্যের সাহায্যে পরিষ্কার রাখতে হবে।

মুখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকুন

হাত যতই পরিষ্কার থাকুক না কেন, মুখে কোনভাবেই হাত দেওয়া যাবে না। মুখে হাত দেওয়া থেকে যেভাবেই হোক নিজেকে নিবৃত করতে হবে। প্রয়োজনে নতুন অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে মুখের কাছে হাত নেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য।

একে অন্যকে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ সময়ে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে একে অন্যকে যেকোন প্রকার স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে। হ্যান্ডশেক, কোলাকুলি, হাই ফাইভের মতো সাধারণ বিষয়গুলোও এখন জীবননাশের কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই নিজেকে সংযত রেখে আশেপাশের সবাইকেও এই বিষয়ে সতর্ক করতে হবে।

ফেলে দিন হাতের টিস্যু

corona

হাতে থাকা যে টিস্যুটিতে হাঁচি-কাশি দেওয়া হয়েছে, নাক-মুখ মোছা হয়েছে সেটা বেশিক্ষণ হাতে না রেখে সরাসরি ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হবে। এখানে-সেখানেও ফেলা যাবে না। কারণ এই টিস্যুর অপব্যবহার থেকেই ছড়াতে পারে জীবাণু।

বর্জন করুন ধূমপান

corona

করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, ফলে ধূমপায়ীদের এই ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সবচেয়ে বেশি। বর্তমান পরিস্থিতিতে ধূমপানের অভ্যাসটি যথাসম্ভব পরিহার করে নিজেকে নিরাপদ রাখাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

ঘুমান পর্যাপ্ত পরিমাণ

সার্বিক পরিস্থিতিতে নিজেকে শান্ত ও দুশ্চিন্তামুক্ত রাখা কষ্টকরই বটে। যা মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে দেয়। তাই এ সময়টাতে চেষ্টা করতে হবে যতটা সম্ভব মানসম্পন্ন ও পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানোর। এতে করে মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি দূর হবে।

খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার

অন্যান্য সকল নিয়মের মাঝে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের দিকেও নজর দিতে হবে। এখন পর্যন্ত গবেষক বা বিজ্ঞানীরা এমন কোন খাদ্য উপাদানের নাম জানাতে পারেননি যা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে কিংবা এই ভাইরাসজনিত সমস্যা কমাতে কার্যকর। তবে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ও শরীরকে তুলনামূলকভাবে সুস্থ রাখতে কাজ করে বলে নিয়ম মেনে খাবার খেতে হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর