করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতিটি হল সাবান-পানিতে ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে হাত ধোয়া। শুধুমাত্র ওয়াশরুম ব্যবহারের পরেই নয়, যেকোন জিনিস স্পর্শ করার পরপরই সাবান-পানিতে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
এই নিয়মে সারাদিন বেশ অনেকবার সরাসরি সাবানের সংস্পর্শে আসার ফলে স্বাভাবিকভাবেই হাতের ত্বক হয়ে যাবে শুষ্ক ও রুক্ষ। সাবান ব্যবহারে একদিকে যেমন জীবাণু ধ্বংস হবে, সেই সাথে নষ্ট হবে হাতের আর্দ্রতাও।
এ কারণে পরামর্শ দেওয়া হয় সাবানের সাহায্যে হাত ধোয়ার পরপরই হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করার। তবে অনেকের নাগালের মাঝে হ্যান্ড ক্রিম না থাকার দরুন বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য জেনে নিন হাতের কোমলতায় কী করা প্রয়োজন।
ত্বকের যত্নে ওটসের ব্যবহার নতুন কিছু নয়। শুকনো এই উপাদানটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ও ত্বকের উপরিভাগে সুরক্ষিত প্রলেপ তৈরি করতে কাজ করে। বিশেষত ত্বকের মরা চামড়া দূর করতে সবচেয়ে বেশি ভালো কাজ করে ওটসের গুঁড়া।
ব্যবহারের জন্য এক টেবিল চামচ ওটসের গুঁড়া ও এক চা চামচ নারিকেল তেল একসাথে মেশাতে হবে। মিশ্রণটি হাতে আলতোভাবে ম্যাসাজ করে ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিতে হবে। এরপর হাত ধুয়ে নিতে হবে। প্রতি একদিন পরপর এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে হবে।
ঘরে যদি ওটস না থাকে তবে শুধু নারিকেল তেল ব্যবহারেও হাতের কোমলতা পাওয়া যাবে। প্রাকৃতিক এই তেলের উপশমকারী উপাদান ত্বককে অল্প সময়ের মাঝে আর্দ্রতা প্রদান করে এবং ত্বকের উপরিভাগের লিপিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এতে করে শুধুমাত্র নারিকেল তেলের মাধ্যমে সহজেই হাতের শুষ্কতা দূর করা সম্ভব।
ব্যবহারের জন্য ১-২ চা চামচ নারিকেল তেল এক জোড়া গ্লভস প্রয়োজন হবে। দুই হাতে নারিকেল তেল ম্যাসাজ করে গ্লভস পরে সারারাতের জন্য রেখে দিতে হবে। সারারাত গ্লভস পরে থাকতে অসস্তি লাগলে দুই ঘন্টার জন্য পড়ে খুলে ফেলতে হবে এবং হাত ধুয়ে নিতে হবে। প্রতি দুই দিন অন্তর এই নিয়মে নারিকেল তেল ব্যবহার করতে হবে।
প্রাকৃতিক অ্যালোভেরা পাতার জেলের পলিস্যাকারাইডস হাতের রুক্ষতাকে দূর করবে। সাথে মধু হাতের ভেতর থেকে আর্দ্রতাকে ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
ব্যবহারের জন্য এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা পাতার জেল ও আধা চা চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে হাতে ম্যাসাজ করতে হবে অন্তত পাঁচ মিনিটের জন্য। এরপর ২০ মিনিট রেখে দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি প্রতিদিন ব্যবহার সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যাবে।