করোনাভাইরাসের সাথে পুরো বিশ্বের পরিচয় ঘটেছে প্রায় পাঁচ মাসের মত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসটি সমগ্র বিশ্বের কাছে একটি প্রশ্নবোধক চিহ্নের মত। বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বিশ্ব মহামারীতে রূপ নেওয়া করোনাভাইরাস সম্পর্কে কিছুটা জানা সম্ভব হলেও, অজানা রয়ে গেছে এখনও বহু বিষয়। ফলে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকছে সবখানেই।
বিশেষত এটা পরিষ্কারভাবে জানা যায় যে, মানুষের ত্বক থেকে শুরু করে কোন বস্তুর উপর করোনাভাইরাস কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে। এক্ষেত্রে পরিষ্কার পরিছন্ন থাকা খুবই জরুরি। শুধু ব্যক্তিগত পরিছন্নতাই এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নয়, চারপাশের সবকিছুর দিকেও নজর দেওয়া অত্যাবশক। জানুন এমন হাতের নাগালে থাকা তিনটি জিনিস সম্পর্কে যা করোনাভাইরাস ধ্বংসে সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
ব্লিচ খুবই স্ট্রং ক্লিনিং উপাদান। কনজ্যুমার রিপোর্টসের তথ্যানুরাসে করোনাভাইরাসসহ অন্যান্য যেকোন ক্ষতিকর ভাইরাস ধ্বংসে ব্লিচ কার্যকর। যেহেতু এটা বেশ শক্তিশালী, তাই ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। জামাকাপড় ধোয়ার ক্ষেত্রে এক গ্যালন পানিতে ১/৪ কাপ পরিমাণ ব্লিচ ব্যবহার করতে হবে। শিশুদের খেলনা ও প্লাস্টিকের জিনিসের জন্য এক গ্যালন পরিমাণ পানিতে দুই চা চামচ ব্লিচ গুলিয়ে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। এছাড়া ব্লিচ মিশ্রিত পানি কাপড়ে নিয়ে রান্নাঘর ও ঘরের ক্যাবিনেট জাতীয় স্থানগুলো পরিষ্কার করা যাবে।
রাবিং অ্যালকোহলকে আমরা সাধারণ ভাষায় সার্জিক্যাল স্পিরিট বা স্পিরিট হিসেবে জানি। যে সকল ডায়াবেটিসের রোগীদের ইনস্যুলিন নিতে হয়, তাদের কাছে যে স্পিরিটট থাকে সেটাই মূলত জীবাণু ধ্বংসে কাজ করে। ঘরে না থাকলে বাড়ির কাছে যেকোন ওষুধের দোকান থেকেই কেনা যাবে এই রাবিং অ্যালকোহল। এই উপাদানটি জীবাণু ও ভাইরাস ধ্বংসে খুব দ্রুত কাজ করে বিধায় যেকোন কাটাছেঁড়া, অস্ত্রোপচার, ইনজেকশন দেওয়ার আগে ত্বকের উপরে স্পিরিট ব্যবহার করা হয়। ঘরের সুইচ, দরজা-জানালার হাতল, টিভির চারপাশের অংশ, রিমোট, ড্রয়ার প্রভৃতি জিনিস স্পিরিটের সাহায্যে পরিষ্কার করলে অনেকখানি নিশ্চিত থাকা যাবে।
সাবানের কথা এখানে বলতেই হয়। করোনাভাইরাসসহ ক্ষতিকর ও মারাত্মক ভাইরাসকে নিজের হাত ও শরীর থেকে ধ্বংস করতে চাইলে সাবানেই ঝুঁকতে হবে। যে ধরনের সাবানই হোক না কেন, তা ব্যবহারে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে। সুগন্ধি সাবান, সাধারণ সাবান, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সোপ কিংবা লিকুইড সোপ- সকলই একই রকম ফল দেবে। তবে সাবানে হাত ধোয়ার ক্ষেত্রে ২০ সেকেন্ড সময় নিতে হবে এবং অবশ্যই হাত ধোয়া শেষে হাতকে শুকিয়ে নিতে হবে।