হয়তো এ বছরের ঈদ নিয়ে বহু পরিকল্পনা ছিল, আয়োজন ছিল। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত করোনা পরিস্থিতি এলোমেলো করে দিয়েছে সবকিছুই। মানতে কষ্ট হলেও, এ বছরের ঈদ পালন করতে হবে একেবারে ঘরে বসেই। এতেই সুরক্ষিত থাকা যাবে পরিবারের সকলের সাথে।
কিন্তু বন্ধুদের সাথে আড্ডা নেই, প্রিয় আত্মীয়ের বাসায় হই-হুল্লোড় নেই, নেই রেস্টুরেন্টে চেকইন। প্রতিদিনের রুটিন মাফিক দিনের মাঝে আর ঈদের দিনের মাঝে তফাত কোথায় তাহলে?
কিন্তু এই দিনটিকে ‘ঈদের দিন’ হিসেবে বিশেষ করে তোলা ও পালন করার চাবিকাঠি আছে আপনার হাতেই। বাইরে যাওয়া হচ্ছে না কিংবা মেহমান বাসায় আসছে না তো কি হয়েছে! ঈদটা নিজের ও নিজেদের জন্যেই পালন করা হোক না হয়।
চাঁদরাত থেকেই ঈদের আমেজ চলে আসে ‘ও মোর রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ গানের হাত ধরে। সেদিন সকাল থেকেই ঘরদোর গুছিয়ে ফেলুন। বিছানার চাদর, পর্দা, কুশন কভার বদলে নিন। ফার্নিচার ও শোপিসগুলো ঝেড়ে নিন ভালোভাবে।
এবারে চাঁদরাত থেকেই ঈদের দিনের রান্নার আয়োজন শুরু করে দিন। এ সময়ে বাহুল্য খরচের প্রয়োজন নেই। কিন্তু সেমাই, পায়েস, অল্প ঘিয়ে রাঁধা পোলাও, মুরগীর ঝোল এবং সঙ্গে টমেটো-শসার সালাদ হলেই জম্পেশ খাবারের আয়োজন হয়ে যায়।
ঈদের দিনের শুরুতেই পরিবারের সবার সাথে খাবার খাওয়া শেষে ভিডিও কলে আত্মীয়, বন্ধু ও সহকর্মীদের সাথে কুশলাদি সেরে নিলে মন ভালো হয়ে যাবে। দেখবেন এতেই বেশ অনেকটা সময় কেটে যাবে। ঈদের জন্য নতুন পোশাক কেনা না হলেও পছন্দসই পোশাক পরে নিজেকে গুছিয়ে নিন। এতে করে মনে স্ফূর্তিভাব আসবে।
পরিবারের কেউ যদি গান গাইতে পারেন কিংবা নাচে পারদর্শী হন তবে গান-নাচের পারিবারিক আসর জমিয়ে নিতে পারেন। গানে আড্ডায় সময় কীভাবে পার হবে বুঝতেই পারবেন না।
সবচেয়ে ভালো হয় পরিবারের সবাইকে নিয়ে কোন চমৎকার সিনেমা দেখার আয়োজন করতে পারলে। স্বাভাবিক সময়ে হয়তো কখনই একসাথে বসে সিনেমা দেখা হয়ে ওঠে না ব্যস্ততার জন্য। ঈদের দিনটিতে না হয় সেই ফুসরত পাওয়া যাবে।
আর ছবি তোলার কথা ভুলবেন না একদম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি শেয়ার করতেই হবে এমন কোন কথা নেই, তবে নিজেরা একসাথে সেজেগুজে ছবি তুলে রাখুন নিজেদের স্মৃতির জন্যেই। এমন কঠিন সময়ে পরিবারের সবাই একসাথে সুস্থভাবে ঈদ পালন করাই এ বছরের জন্য সবচেয়ে বড় উপহার। ভালোভাবে সবাই ঈদ পালন করুন ও নিরাপদে থাকুন এমনটাই কাম্য।