প্রায় প্রতিদিন যে কাজটি করতে হচ্ছে, সেখানে কিছু বিশেষ কৌশল কাজটাকে অনেকখানি সহজতর করে দিতে পারে। রান্নার ব্যাপারটিই এমন। সামান্য এদিক সেদিক হলে যেমন খাবার নষ্ট হয়ে যায়, তেমনভাবে সামান্য টিপসেই দারুণ উপকারে আসতে পারে। রান্না ও খাবার প্রস্তুতি সম্পর্কিত এমন কিছু টিপস জানা থাকলে প্রয়োজনে দারুণ কাজে আসবে।
১. রান্নার পুরো ব্যাপারটিকে তিনটি আলাদা ভাগে ভাগ করে নিন। ভাগ তিনটি হল- প্রস্তুতি, রান্না ও পরিবেশন। প্রস্তুতির সময়ে যাবতীয় রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় সকল জিনিস হাতের কাছে এনে, কেটেবেছে নিতে হবে। এরপর রান্নার ধাপে যেতে হবে। রান্না বসিয়ে দিয়ে এরপর মসলা বা পেঁয়াজ কাঁচামরিচের খোঁজ করতে গেলে খাবার নষ্ট বা পুড়ে যাওয়ার সঙ্গে পুরো রান্নার কাজটি শেষ হতেও লম্বা সময় প্রয়োজন হয়।
২. কড়াইতে তেল দিয়ে হালকা জ্বাল দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে পেঁয়াজ বা ভাজার জন্য কিছু দিয়ে দেখা গেলো যে তেল গরম হয়নি। এতে করে পাত্রের সাথে খাবার লেগে যাচ্ছে, অতিরিক্ত তেলতেলে থাকছে এবং খাবারের স্বাদও ভালো হয়নি। এমন সমস্যা এড়াতে কড়াইতে তেল দিয়ে জ্বাল দেওয়ার পর কাঠের চামচের পেছনের অংশ তেলে ধরে দেখতে হবে যে বুদবুদ দেখা যায় কিনা। তেলে দেওয়ার সাথে সাথে বুদবুদ দেখা গেলে বুঝতে হবে তেল পারফেক্ট গরম হয়েছে।
৩. রান্নার বড় একটা অংশ হল কাটাবাছা করা। মূলত এর পেছনেই সিংহভাগ সময় চলে যায়। ফলে এদিকে খেয়ালটাও দিতে হবে একটু বেশি। কাটাকাটির ছুরি, বটি, কাটিং বোর্ড ও কাঁচি সবকিছু হাতের কাছে রাখতে হবে এবং ছুরি-বটি ঠিকভাবে ধার করাতে হবে। এতে করে কাটাকাটির বিষয়টি সহজ হবে।
৪. মাংস দ্রুত রান্নার সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর নিয়মটি হল, মাংসের টুকরা ছোট করে কাটা। বড় মাংসের টুকরা সিদ্ধ হতে বেশ অনেকটা সময় প্রয়োজন হয়। ছোট করে কাটা হলে দ্রুত সিদ্ধ হয়ে আসবে।
৫. মাংসের মাঝে গরুর মাংস সিদ্ধ হতে সবচেয়ে বেশি সময় প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে মাংসের টুকরা ছোট করে কাটার সঙ্গে রান্নায় অল্প পরিমাণ কাঁচা পেঁপে বাটাও দিতে হবে। এতে করে মাংস তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হবে।
৬. রান্নার পরেও মাছের আঁশটে গন্ধ থেকে যাচ্ছে? মাছ রান্নার অন্তত আধা ঘন্টা আগে টকদই, অল্প হলুদ গুঁড়া ও অল্প লবণ দিয়ে মেরিনেট করে রেখে দিন। এরপর সাধারণ নিয়মে রান্না করে নিন। টকদই মাছের গন্ধ দূর করতে কাজ করবে।