আগামীকাল থেকে শেষ হচ্ছে সাধারণ ছুটি। ফলে প্রতিদিনকার পুরনো ব্যস্ততায় অফিসের কাজে ফিরে যেতে হচ্ছে বেশিরভাগ কর্মজীবী মানুষদের। দেশে করোনা পরিস্থিতিতে এখনও কোন উন্নতি দেখা না যাওয়ায়, প্রায় দুই মাসের বেশি সময় পর কাজে ফেরার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে নিজের স্বাস্থ্য সতর্কতা ও সচেতনতার প্রতি। এ সময়ে অফিসে যে বিষয়গুলোর প্রতি বাড়তি নজর দেওয়া খুবই জরুরি সেগুলো সম্পর্কে জেনে রাখুন এবং কর্মদিবসের শুরু থেকেই সেগুলো পালনের ব্যাপারে সচেষ্ট হন নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য।
অফিস শুরু প্রথম থেকেই খেয়াল রাখুন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে। সহকর্মীদের কাছ থেকে অবশ্যই অন্তত ছয় ফিট (ছয় হাত সমান) দূরত্ব বজায় রেখে যোগাযোগ করতে হবে এবং নিজের কাজের স্থানে বসতে হবে।
বহুদিন পর সহকর্মীদের সাথে দেখা হওয়ার আনন্দে কুশলাদি বিনিময়ের সময়ে সাগ্রহে হ্যান্ড শেক করার মত ভুল করে বসবেন না একদম। প্রথমেই মাথায় রাখুন, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। এই নিয়মটি মানলে হ্যান্ড শেক করার মত বিষয়টি থেকেও দূরে থাকা সম্ভব হবে। কেউ যদি হ্যান্ড শেক করার আগ্রহ প্রকাশও করেন, তাকে বিনয়ের সাথে নিজের অনিচ্ছার কথা জানিয়ে দিতে হবে।
হ্যান্ড গ্লাভস পরে থাকলেও সেটা সারাদিন টানা পরে থাকা সম্ভব নয়। এ জন্য নিজস্ব সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সাথে রাখুব হ্যান্ড স্যানিটাইজার। সময়ে সময়ে তা ব্যবহার করলে বেশ অনেকটা নিশ্চিন্তে থাকা সম্ভব হবে।
বেশিরভাগ অফিস এয়ারকন্ডিশন্ড হওয়ায় মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পরে থাকা খুব একটা কষ্টকর হবে না। অফিসে থাকাকালীন পুরো সময়ে এই দুইটি জিনিস পরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। সাথে মনে করে হ্যান্ড গ্লাভস পরে থাকা অবস্থায় মুখের কাছ থেকে হাত দূরে রাখতে হবে।
বেশিরভাগ সময়েই সকালের নাশতা ও দুপুরের খাবার অফিসে ক্যান্টিন কিংবা বাইরে থেকে আনিয়ে খাওয়া হলেও, এ বিশেষ সময়ে বাসায় তৈরি খাবারের উপরেই নির্ভর করতে হবে পুরোপুরি। বাইরের খাবার মানেই বিভিন্ন মানুষের সাথে সংযোগ, যা থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ঝুঁকি বেড়ে যায় অনেকটা। তাই খাবার বাসা থেকেই প্রস্তুত করে নিতে হবে।
অফিসের সকলের জন্য থাকা সাধারণ প্লেট, গ্লাস, বাটি, চামচ এ সময়ে ব্যবহার না করা হবে সবচেয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত। বাসা থেকে নিজের জন্য প্রয়োজনীয় থালাবাসন নিয়ে নিন এবং সেগুলোই ব্যবহার করুন। ব্যবহার শেষে নিজ হাতে পরিষ্কার করে আলাদাভাবে রেখে দিন।