পরিছন্ন, দৃঢ় ও লম্বা নখ চাইলেও নখ ভেঙে যাওয়ার সমস্যাটি বেশ ভোগায়। কাঙ্ক্ষিত আকৃতিতে নখ রাখতে চাইলেও, এই সমস্যাটির কারণে নখ লম্বা রাখা সম্ভব হয় না। নখ ভালো ও দৃঢ় রাখার রাখার ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাসে পুষ্টিকর খাবারের উপস্থিতি বড় ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি নখের প্রতি যত্নশীল হওয়াও জরুরি। জানুন নখ ভাঙা প্রতিরোধে করণীয়।
পানিতে যত বেশিবার হাত ভেজানো হবে, নখ তত বেশি দুর্বল হয়ে পড়বে। এতে করে একটা সময় পর নখ নিজ থেকে ভেঙে যায়। তাই ঘরের প্রয়োজনীয় কাজ যেমন- থালাবাসন ধোয়া, জামাকাপড় কাঁচার সময় হ্যান্ড গ্লভস ব্যবহার করতে হবে। এতে করে নখ সুরক্ষিত থাকবে।
পানি সীমিত মাত্রায় স্পর্শ করার কথা বলা হলেও, পানি পানের ক্ষেত্রে মোটেও কার্পন্য করা যাবে না। ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা চুল, ত্বক ও নখকে দুর্বল করে দেয়। এ কারণে প্রতিদিন ৭-৮ গ্লাস পানি পানের দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
নখ ছোট, মাঝারি কিংবা লম্বা- যেভাবেই রাখতে চান না কেন, নির্দিষ্ট একটি সাইজ অনুযায়ী কেটে নখের আকৃতি ঠিক করে নিন। নখের আকৃতি যদি ঠিক না থাকে, তবে যেকোন সময়েই নখ ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
নখের সুস্থতায় কিউটিকল অনেক বড় অবদান রাখে। তাই নখকে সুস্থ ও মজবুত রাখতে চাইলে কিউটিকলের দিকেও সমানভাবে নজর দিতে হবে। চেষ্টা করতে হবে কিউটিকল পরিষ্কার ও ছেঁটে রাখার জন্য। এতে করে নখের বৃদ্ধি ভালো হবে এবং নখ ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা কমবে।
নখের হরেক যত্নের মাঝে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যাবে, প্রাকৃতিক ও পুষ্টিসমৃদ্ধ তেলের ব্যবহারে। নখকে দৃঢ় করতে অলিভ অয়েল ও জোজোবা অয়েল ব্যবহার করতে হবে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে নখে অল্প পরিমাণ তেল নিয়ে ম্যাসাজ করে রেখে দিয়ে পরদিন সকালে নখ স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।