সারা বছরে খুব বাছবিচার করে খাবার খেলেও ঈদের দিনে সেই নিয়মে ব্যতয় ঘটে। খুব স্বাভাবিকভাবেই কোরবানির ঈদে তুলনামূলক বেশি মাংস খাওয়া হয়ে যায়। একদিনের জন্য নিয়মের ব্যতিক্রম সবার জন্য ক্ষতির কারণ না হলেও অনেকের জন্যেই শারীরিক অস্বস্তি ও অসুস্থতার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। জেনে নিন বেশি মাংস খাওয়ার পরবর্তীতে কী করা প্রয়োজন।
সাধারণত যতটুকু হাঁটাহাঁটি করা হয় তার চাইতে আজ বেশি হাঁটুন। ঘরের ভেতর, বারান্দা কিংবা ছাদে খোলা স্থানে মাঝারি স্পিডে ২০-৩০ মিনিটের জন্য হেঁটে ফেলুন। বাড়তি হাঁটার ফলে বাড়তি ক্যালরি পুড়িয়ে ফেলা সম্ভব হবে।
আজক ঈদের দ্বিতীয় দিন হলেও আজকের মেন্যুতে কোন ধরণের মাংস বা মাংস জাতীয় খাবার না রাখাই শ্রেয়। ভর্তা, ভাজি, ডাল-ভাতের মত সাধারণ খাবারই হবে সঠিক মেন্যু।
এনএও ওয়েলনেস প্রতিষ্ঠানের পুষ্টিবিদ নিক্কি অস্ট্র জানাচ্ছেন, মাংস বেশি খাওয়ার পর যাদের অস্বস্তি বোধ হয় তাদের জন্য অ্যাপল সাইডার ভিনেগার পান করা হবে সবচেয়ে উপকারী। এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ এসিভি মিশিয়ে পান করে নিতে হবে।
ঘরে যদি পুদিনা পাতা থাকে তবে কোন চিন্তা নেই। এক মুঠো পুদিনা পাতা কুঁচি করে গরম পানিতে মিশিয়ে পান করে নিতে হবে। স্বাদের জন্য এতে মধু যোগ করা যেতে পারে।
সাইট্রাস ঘরানার ফলে থাকা অ্যাসিড এ সময়ে খুবই উপকারে আসবে। তাই লেবু, কমলালেবু, মাল্টা ঘরানার ফল খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
হলুদ হল সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ধর্ম সম্পন্ন একটি প্রাকৃতিক উপাদান। খাবার বা মাংস অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে গেলে পেটের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা রোধে কুসুম গরম পানিতে হলুদ গুঁড়া, লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে পান করে নিতে হবে।
মাংস বেশি খাওয়া হয়ে গেলে অনেকের গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। তাই চেষ্টা করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করার। হাতের কাছে পানি ভর্তি বোতল রেখে দিতে হবে এবং কিছুক্ষণ পরপর পান করতে হবে।