‘গুলশান-বনানীর সমস্ত চোরাই পানির নির্গমন বন্ধ করে দেওয়া হবে’

, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-27 09:26:00

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, গুলশান এলাকার সমস্ত বর্জ্যের পাইপ গুলশান লেকে ফেলা হয়েছে। গুলশান লেক, বনানী লেকে যারা চোরাই লাইন করে পানি নির্গমনের ব্যবস্থা করেছেন প্রত্যেকটি চোরাই লাইন বন্ধ করে দেওয়া হবে। তাতে আপনাদের কি অবস্থা হবে সেটি আমি জানি না।

রাজধানী ঢাকাকে নিয়ে সকল সেবা সংস্থার কাজে সমন্বয়হীনতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র বলেছেন, যারা বড় বড় ভবন করছেন অথচ বর্জ্য রাখার ঘর এসটিএস নির্মাণের জায়গা রাখছেন না। আবার লেকের পানিতে সুয়ারেজ লাইন। কেন ঢাকাকে নোংরা করতে এমন পরিকল্পনা নিচ্ছেন। তিনি রাজউক ও অন্য যে সংস্থার অধীনে লেক বা খাল রয়েছে সেগুলোকে পরিষ্কার করে পানিকে অ্যামোনিয়ামুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আধুনিক ও জনকল্যাণমূলক মহানগরী বিনির্মাণে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করে সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন সংক্রান্ত সভায় মেয়র একথা বলেন। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাজের কড়া সমালোচনা করে মেয়র আতিক বলেন, ডিএনসিসির অঞ্চল-২ মিরপুর-৬ এ গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তর ১০টি ভবন করেছে এবং ৭৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করেছে। কিন্তু সেই ফ্ল্যাটের ময়লা কোথায় ফেলবে তার জন্য এক কাঠাও জায়গা রাখেন নাই। আমি তিন মাস সময় দেব। তিন মাসের মধ্যে এসটিএস নির্মাণের জায়গা করে দিতে হবে। তা না হলে আপনাদের ওই ৭৩৬টি ফ্ল্যাটের ময়লা নেব না।

মেয়র প্রশ্ন রেখে বলেন, আপনারা কেন এমন পরিকল্পনা করছেন? এই শহরকে নোংরা করার জন্য। আপনাদের ৭৩৬টি ফ্ল্যাটের ময়লা রাস্তার ওপরে ফেলে দিচ্ছেন। ঠিক একইভাবে হাউজিং কর্তৃপক্ষ উত্তরা ১৪ নং সেক্টরে সুন্দর বাড়ি বরাদ্দ দিয়েছেন। কেউ এসটিএস এর জায়গা রাখেন নাই। কেন এই প্লান?

রাজউক কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, রাজউকে যারা আছেন, গণপূর্তে যারা আছেন। অনতিবিলম্বে আপনার গুলশান, বনানী লেকসহ সকল লেকের পানি অ্যামোনিয়া ফ্রি করে দেন, আমরা সেখানে মাছ ফেলব। উত্তরা লেকের দায়িত্বে যারা আছেন আপনারা মাছের চাষ করার জন্য পরিষ্কার পানির ব্যবস্থা করে দিন। আপনারা কিভাবে করবেন সেটা আপনাদের দায়িত্ব। আমি লেকে মাছ ফেলতে চাই। শুধু তাই না মাছ ফেললে সেই মাছ বাঁচবে সেই নিশ্চয়তা দায়িত্বশীলদের দিতে হবে। যাদের খাল তাদের নিশ্চয়তা দিতে হবে।

এছাড়া ডিএনসিসির বর্ধিত এলাকা এবং যে সকল এলাকায় খেলার মাঠ, পার্কিং ব্যবস্থা, এসটিএস নির্মাণের জায়গা নেই সেখানে দ্রুত ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, আমরা সকল সংস্থাকে চিঠি দেব। সেই সকল জায়গা আমাদের কাছে হস্তান্তর করে দিতে হবে। তা নাহলে সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর