জমি সংক্রান্ত বিরোধে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ইদ্রিস আলী (৩০) নামের এক যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬২ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) উপজেলার টোক বাইপাস মোড়ের ভূঁইয়া বাড়ির পুকুর পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ইদ্রিস আলী ওই এলাকার সালোয়ার টেকির মফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি বেশ কয়েক বছর আগে প্রবাস থেকে ফিরে জমি দেখাশোনার কাজ করতেন।
নিহতের স্ত্রী সুমাইয়ার (১৯) ভাষ্যমতে, তার স্বামী সোমবার রাত ১২টার দিকে সাপ ধরার খবর পেয়ে বাইরে বের হন। রাত আড়াইটার পর কল দিলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর সকালেও বাড়িতে না ফিরলে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে কিছু দূরে একটি পুকুরের ধারে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
টোক পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই সিদ্দিকুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ইদ্রিসের গলায় কোপের, মাথায় শক্ত কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন এবং বুকে মারাত্মক জখম রয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২২৪ মডেলের একটি রাইফেল ও দুটি আগ্নেয়াস্ত্রের মোট ৬২ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিহতের শরীরে গুলির চিহ্ন না থাকলেও মরদেহের পাশে এসব সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। এগুলো নিহত ব্যক্তির নাকি ঘাতকদের সেটি জানতে অনুসন্ধান চলছে।
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে স্থানীয় রবিন ভূঁইয়ার সঙ্গে নিহত ইদ্রিস জমি দেখাশোনার কাজ করতেন। পরে রবিনের ভাগিনা জহির আহসান জাহিদের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করেন ইদ্রিস। মাস খানেক আগে পুনরায় রবিনের সঙ্গে কাজে যোগ দেয় ইদ্রিস। এনিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এ বিরোধ থেকেই জাহিদ এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়ে থাকতে পারে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।