জাতীয় পার্টি থেকে মহাসচিবের পদ হারানো মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, দলের সংবিধান বা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বহিষ্কার ঠিক আছে। এটাতে আমার আপত্তিও নেই। আমি বিরোধিতাও করি না। কিন্তু গণতান্ত্রিকভাবে কতখানি হয়েছে, তা আমি বলতে যাবো না।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ব্যক্তিগত কাজে এসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, দলে আমাদের মধ্যে কোনো দ্বিমত নেই। আমাকে যে বহিষ্কার করেছে বা বাদ দিয়েছে তা নয়। আমার সাথে কথা বলেছে। আমি বলেছি আমার একটু অসুবিধা হচ্ছে। আমাদের দলের সংবিধান অনুযায়ী আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে গণতান্ত্রিকভাবে কতখানি হয়েছে, তা আমি বলতে যাবো না। দলের সংবিধান অনুযায়ী এটা ঠিক আছে। এটাতে আমার আপত্তিও নেই। আমি বিরোধিতাও করিনা।
ক'দিন আগেও বিভিন্ন সভা, সেমিনার ও টেলিভিশন টকশোতে দলীয় চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেও এবার তিনি প্রশংসা করে বলেন, মাননীয় চেয়ারম্যান সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে দল পরিচালনা করছেন। আমি দায়িত্বে থেকে বুঝেছি মহাসচিবের বিষয়টি দায়িত্বটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হলেও সাংবিধানিকভাবে চেয়ারম্যানের দায়িত্বটাই বেশি। সুতরাং চেয়ারম্যান যেভাবে দল পরিচালনা করবেন, মহাসচিব বাবলুও সেভাবেই চালাবেন।
রাঙ্গা আরো বলেন, আমি রংপুরে থেকেই পলিটিক্স করব। ঢাকায় বা কেন্দ্রে যদি আমার কোনো দায়িত্ব নাও থাকে আমি আমার জেলায় রাজনীতি করব। মোস্তফা, ইয়াসির, রাজ্জাকসহ রংপুরের নতুন ও পুরাতনদেরকে সাথে নিয়ে জাতীয় পার্টিকে আরো সুসংগঠিত করা হবে।
রংপুর মেডিকেল কলেজের সভাপতির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাত সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এখান থেকে আমাকে পরিবর্তন করে সাদ এরশাদকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এটাকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সম্পাদক খতিবার রহমান, জেলা জাতীয় যুবসংহতির সভাপতি হাসানুজ্জামান নাজিম, মহানগর যুবসংহতির সাধারণ সম্পাদক শান্তি কাদেরী, প্রচার সম্পাদক মুফতি মাহামুদ, জেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের আহবায়ক আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।