শর্ত সাপেক্ষে মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে গণপরিবহনে আগের ভাড়ায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে করোনাকালে বাড়ানো ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার না করায় আজও বর্ধিত ভাড়ায় চলছে অনেক গণপরিবহন।
সরেজমিনে দেখা যায়, যাত্রীদের কাছ থেকে আগের বর্ধিত ভাড়ায় টিকিট বিক্রি করছে হাতিরঝিল চক্রাকার বাস। এছাড়া আরও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা চাকা, গুলশান চাকাও বাড়তি ভাড়া আদায় করছে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে।
বাড়তি ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মগবাজার সংলগ্ন ১ নং কাউন্টার থেকে বলা হয়, তাদেরকে ৬০ শতাংশ বাড়ানো ভাড়ায় টিকিট বিক্রি করতে বলা হয়েছে।
এদিকে, হাতিরঝিল চক্রাকার বাসের বর্ধিত ভাড়া বাদে আগে ভাড়া নেওয়া হতো ১০, ১৫, ২০ টাকা। আর যখন ভাড়া বাড়লো তখন ১০ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা, ১৫ টাকার ভাড়া ২০ টাকা আর ২০ টাকার ভাড়া ৩০ টাকা নেওয়া হতো। তবে আজ আগের ভাড়ায় ফেরার কথা থাকলেও মানছে না এসব গণপরিবহন।
এ নিয়ে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভাড়া একবার বাড়ালে এ দেশে সেই ভাড়া আর কমে না।
সাধারণ যাত্রীরা আরও অভিযোগ করে বলেন, গণপরিবহনে উঠা যাত্রীদের সুপারভাইজার/কন্ডাক্টর/হেলপার টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিতদের মাস্ক পরিধান বা ব্যবহার নিশ্চিত করতে বলা হলেও তারা তা মানছেন না ।
গণপরিবহনের বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, এ ধরনের অভিযোগ দু-একদিন পর আর থাকবে না। আমরা পরিবহন সংশ্লিষ্ট সকলকে সরকারের নির্দেশনা পাঠিয়ে দিয়েছে। সবার কাছে এই নির্দেশনা পৌঁছে গেলে সবাই আগের ভাড়া নিতে বাধ্য হবে। একই সঙ্গে বাসের সিটের অতিরিক্ত যাত্রী কোনো পরিবহন নিতে পারবে না, মানতে হবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি।
তিনি আরও বলেন, সরকারের এই নির্দেশনা সকলে মানতে বাধ্য হবেন । আমি বিআরটিএকে অনুরোধ করবো যারা না মানবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।
উল্লেখ্য, এর আগে শনিবার (২৯ আগস্ট) জনস্বার্থে ও বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে শর্ত সাপেক্ষে গণপরিবহনে আগের ভাড়ায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার বলে জানায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।