সিটিতে বসবাস করে কেউ হোল্ডিং ট্যাক্স দেবে আর কেউ দেবে না এটি আর হতে পারে না। তাই সবাইকে হোল্ডিং ট্যাক্সের আওতায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ঢাকা শহরে যত্রতত্রভাবে সবাই বাণিজ্য করছে কিন্তু আমরা সিটি করপোরেশন কোনো ট্যাক্স পাচ্ছি না। ব্যবসা করার অধিকার সবার আছে কিন্তু অবৈধভাবে ব্যবসা করার অধিকার কারো নেই। যারা এখনো ট্যাক্স দেননি তাদের প্রতি অনুরোধ আপনার হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স ফি পরিশোধ করে বৈধ হোন।
মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির লক্ষ্যে চিরুনি অভিযান শুরু করেছে। প্রথম পর্যায়ে ডিএনসিসির অঞ্চল-২ ও অঞ্চল-৫ এর আওতায় ১৮টি ওয়ার্ডে একযোগে এই অভিযান শুরু হয়েছে। এই অভিযানের উদ্দেশ্য যে সকল বাসাবাড়ি ও দোকান সিটি করপোরেশনকে হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স ফি দেন না তাদের ট্যাক্সের আওতায় আনা।
চিরুনি অভিযানের উদ্বোধন শেষে মেয়র নিজে উপস্থিত থেকে ৩৩ নং ওয়ার্ডের বছিলা ব্রিজ এলাকায় পরিদর্শন করেন। এসময় বছিলা ১ নং রোডের বিওয়েস্ট ধানমন্ডির ১২৪/৯/এ এর মোল্লা জেনারেল স্টোরে ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকায় জরিমানা করা হয়। এরপর সেখানে আশপাশের কয়েকটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ট্যাক্স আদায় সহজ করতে আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে অনলাইনে ট্যাক্স আদায় শুরু হবে। আমরা ট্যাক্স বাড়াচ্ছি না, আমরা ট্যাক্সের আওতা বাড়াতে চাই। আমরা দেখেছি অনেক আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান করে ব্যবসা করছে। বাসার গ্যারেজে ব্যবসা করছে। ঢাকা শহরে যত্রতত্রভাবে সবাই বাণিজ্য করছে, এতে আমরা কোনো ট্যাক্স পাচ্ছি না। এটির একটি বিহীত করা দরকার। চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে করের আওতা বাড়ানো হবে। প্রত্যেকটা বাড়ির মালিককে ট্যাক্স দিতে হবে। কেউ ট্যাক্সের বাইরে থাকতে পারবে না। কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ট্রেড লাইসেন্সের বাইরে ব্যবসা করতে পারবে না। আর সকল বিজ্ঞাপনী বিল বোর্ডের জন্য সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিতে হবে।
বছিলা এলাকায় ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) থেকে এক সপ্তাহের ক্যাম্প অফিস করার ঘোষণা দিয়ে মেয়র বলেন, এই এলাকাতে ৭ দিনের অস্থায়ী ক্যাম্প করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। এলাকাবাসীকে মাইকিং করে দেওয়া হচ্ছে। আপনারা ট্যাক্স দিয়ে বৈধ হোন। অবৈধভাবে কাউকে ব্যবসা বাণিজ্য করার অধিকার দেওয়া হয়নি। কেউ ট্যাক্স দেবে কেউ দেবে না এটি হতে পারে না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে কাউন্সিলর যতবেশি ‘নয়াবাড়ি’ ট্যাক্সের আওতায় আনতে পারবে তাকে ধন্যবাদ জানানো হবে।
মেয়র আরও বলেন, যারা এতোদিন ট্যাক্স দেননি আর সেই সুযোগ নেই। যে বাড়ি যেদিন থেকে ট্যাক্স ধার্য্য করা হয়েছে সেদিন থেকেই ট্যাক্স দিতে হবে। যার যতদিন বাকি ততদিনের ট্যাক্স দিতে হবে। সাথে ১৫ শতাংশ পেনাল্টি দিতে হবে।