শহীদ মিনারে জানাজা শেষে আরাফাতকে উত্তরায় দাফন

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া কিশোর আরাফাতের (১১) জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আরাফাতের নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার ইমামতি করেন আরাফাতের ভাই হাসান আলী। পরে উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) আরাফাতের মৃত্যু হয়।

জানা যায়, মাদরাসা থেকে নাজেরা শেষ করেন মো. আরাফাত। পবিত্র কোরআন শরীফের তিন পারা মুখস্থও করেছিলেন। এরপর কিতাব বিভাগের এবতেদিয়ায় অধ্যয়নরত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

গত ৫ আগস্ট উত্তরার আজমপুর পূর্ব থানার সামনে আন্দোলনে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। এরপর তাকে প্রথমে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে ফেরত দেওয়া হয়। এরপর নেওয়া হয় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে। সেখান থেকেও তাকে ফেরত দিলে পরবর্তীতে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করানো হয়। তিন মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর ২২ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

ঘাতক বুলেট শহীদ আরাফাতের বাম পাজরের দিক দিয়ে ঢুকে হাড্ডি ও মেরুদণ্ড ভেঙে ডান পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। এতে তার একটি কিডনিও নষ্ট হয়ে যায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ আরাফাতকে আগামী ২৪ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দেশের বাইরে নেওয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিলো। তার আগেই অনন্ত মহাকালের যাত্রায় অসীম মহাকাশের অন্তে শহীদী মিছিলে তিনি যোগ দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, আরাফাতের বাবা শহীদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমসহ অনেকে জানাজায় শরিক হন।