বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঢাকার রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর মামলায় প্রথম আলোর কিশোর আলো ম্যাগাজিনের সম্পাদক আনিসুল হকসহ ৫ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন।
আনিসুল হক ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক মহিতুল আলম, প্রথম আলোর হেড অব ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন কবির বকুল, নির্বাহী শাহপরান তুষার ও নির্বাহী শুভাশীষ প্রামাণিক।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) তারা ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জসিমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে গতকাল বুধবার মালামাল ক্রোকের আদেশ প্রত্যাহার করেন তিনি।
গত বছরের ৬ নভেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল হকের আদালতে মামলা দায়ের করলে বিচারক নাইমুল আবরার রাহাতের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
গত বছরের ১ নভেম্বর ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে কিশোর আলোর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান চলছিল। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির দিবা শাখার ছাত্র নাইমুল আবরার রাহাত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। পরে বিকেল সোয়া ৪টায় তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেয়া হয়। বিকেল ৪টা ৫১ মিনিটে নাইমুল আবরার রাহাত মারা যায়।
এরপর জেনারেটরের ত্রুটিপূর্ণ তার না পাল্টেই ব্যবহার, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট আবরারকে দূরের হাসপাতালে নেয়া, সে মারা যাওয়ার পরও অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গত বছরের ৬ নভেম্বর মামলা করেন নাইমুল আবরার রাহাতের বাবা মজিবুর রহমান।