জাহাঙ্গীর নামে মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডের একজন পরিবহন শ্রমিক নেতার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছিলেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক। এ ঘটনায় পুলিশ তার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে তাকে গ্রেফতারের পর দুপুরে কোর্টে নেওয়া হয়।
মিরপুর মডেল থানার ওসি দাদন ফকির বলেন, মোজাম্মেলের ৭ দিন রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, প্রথমে দুজন লোক মারফত জাহাঙ্গীর নামে পরিবহন শ্রমিক নেতার কাছে ২ লাখ চাঁদা চান মোজাম্মেল। না পেয়ে আবার যান ওই দুজনের কাছে। এরপর আবারও মোবাইল ফোনে জাহাঙ্গীরের কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অপারগতা দেখানোর পর বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে। এরপর ১০ হাজার টাকা নগদ ও বাকিটা দুদিনের মধ্যে দেওয়ার কথা।
এ অভিযোগে গতকাল সন্ধ্যায় মামলা হয় মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে। আর ভোর রাতে নারায়নগঞ্জের নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে পুলিশ।
মোজাম্মেল যাত্রী কল্যাণ সমিতি নামে একটি সংগঠনের মহাসচিব। চট্টগ্রামে বাড়ি মোজাম্মেল একসময় নিজেকে সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী হিসেবে পরিচয় দিতেন।
সড়ক দুঘর্টনা ও যাত্রী অধিকার নিয়ে তার সংগঠন বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে তা প্রচার করে। তার বিরুদ্ধে সেতু মন্ত্রণালয় থেকে কিছুদিন আগে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়েছে, তিনি সাম্প্রদায়িক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য বাড়িয়ে প্রচার করেন।
একটি সূত্র জানিয়েছে পেশাগতভাবে ছোটখাটো ব্যবসা বাণিজ্য করেন তিনি। ডিএমপি ঢাকা শহরে লেগুনা নিষিদ্ধ করলে তার বিরুদ্ধে মত দেন।
দেড় বছর আগে সরকারি পরিবহন সংস্থা বিআরটিসির আন্তর্জাতিক রুট নিয়ে আদালতে ভুল তথ্য দিয়ে রিট করেছিলেন। পরে আদালত তা খারিজ করেছে।
শ্যামলী পরিবহন এসপি এর মালিকের কাছে থেকে চাঁদা নিয়ে এ রিট করেছিলেন বলে সেসময় অভিযোগ আসে। গণমাধ্যমে এ তথ্য আসার পর তিনি তা অস্বীকার করেন।
তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় পরিবহন মালিকরা চাঁদা দাবির অভিযোগ করে আসছিলেন। তবে এবারেই প্রথম এ অভিযোগে মামলা হলো।