জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিনের স্মারকগ্রন্থ ‘পিতা থেকে কন্যা: স্বাধীনতা থেকে অর্থনৈতিক মুক্তি’ ও ‘নন্দিত নেত্রী শেখ হাসিনা গর্বিত বাংলাদেশ’ বই দুইটির মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ৷
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বই দুইটির মোড়ক উন্মোচন করেন। এসময় পিতা থেকে কন্যা: স্বাধীনতা থেকে অর্থনৈতিক মুক্তি বইটির সম্পাদক কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, প্রকাশক জয়ীতা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ইয়াসিন কবীর জয় এবং বইটির প্রচ্ছদ শিল্পী শাহরিয়ার খান এবং নন্দিত নেত্রী শেখ হাসিনা গর্বিত বাংলাদেশ সম্পাদক কবি আসলাম সানী, প্রকাশক আনম মিজানুর রহমান পাটোয়ারী। এছাড়া কবি লুৎফর চৌধুরী, সেলিনা সেলিসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই দুইটি বই শেখ হাসিনা সম্পর্কে জানার জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সহায়তা করবে। আমি এই দুইটি বই যারা প্রকাশ করেছেন তাদের সম্পাদক, প্রকাশক ও এর সাথে যারা যুক্ত ছিলেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন এই শুভ দিনে বই দুইটির মোড়ক উন্মোচনের জন্য বেছে নেওয়ায় তাদের ধন্যবাদ জানাই। এর ফলে দুইটি বইয়ের প্রকাশকালকে মহিমান্বিত করেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে মূল্যবান দলিল হিসেবে হাজির হয়েছে। বই দুইটির নামকরণ যথার্থ হয়েছে, প্রথম বই পিতা থেকে কন্যা: স্বাধীনতা থেকে অর্থনৈতিক মুক্তি' ও দ্বিতীয় বই 'নন্দিত নেত্রী শেখ হাসিনা গর্বিত বাংলাদেশ'।
বইটির সম্পাদক কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, বইটিতে রয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্ম, বেড়ে ওঠা, ছাত্রজীবন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণ এবং সুদক্ষ ও বলিষ্ঠভাবে দল পরিচালনাসহ নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জন রায়ে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার বিবরণ। পরে ২০০১ সালে ষড়যন্ত্র ও কারচুপির নির্বাচনে তাকে পরাজিত করে চলে চারদলীয় জোট সরকারের দুঃশাসন ও অপশাসন এবং সেই ফলশ্রুতিতে অনিবার্যভাবে আসে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সে সময় মিথ্যা মামলায় জননেত্রী শেখ হাসিনা কারাগারে যান। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা।
এরপর ব্যবসা বাণিজ্যসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে সামনের সারিতে অবস্থান করে উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। এ সময়ে তিনি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও দণ্ড কার্যকর করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন। রিজার্ভ ও রেমিট্যান্সে সর্বকালের রেকর্ড অবস্থানে রয়েছে। ভিশন ২০২১, ২০৪১ ও ডেল্টা প্লান ২১০০ কর্মসূচি নিয়েছেন। বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বিশ্ব সভায় প্রভূত প্রশংসিত তিনি।
জয়ীতা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত স্মারক গ্রন্থ পিতা থেকে কন্যা: স্বাধীনতা থেকে অর্থনৈতিক মুক্তির মুখবন্ধ লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। ১৫০ পৃষ্ঠার গ্রন্থটির ৫টি অধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু কন্যার নিরন্তন সংগ্রামের তথ্যবহুল বিবরণ ও বহু দুর্লভ ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে৷
এরপর কবি আসলাম সানী সস্পাদিত নন্দিত নেত্রী শেখ হাসিনা গর্বিত বাংলাদেশ ৷ মিঞা ফারুকের প্রচ্ছদে বইটি প্রকাশ করেছে মিজান পাবলিশার্স ৷
বই সম্পর্কে আসলাম সানী বলেন, বইটি জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন কারাগারে ছিলেন তখন দেশের সকল মানুষের সঙ্গে কবি সাহিত্যিকরা কান্নায়, ক্ষোভে, শোকে ফেটে পড়ে ছিলো। তার বহিঃপ্রকাশ নন্দিত নেত্রী শেখ হাসিনা গর্বিত বাংলাদেশ। এই বইটিতে আমাদের দেশ বরেণ্য শতাধিক কবি এখানে লিখেছেন। বইটি প্রকাশ করেছেন মিজান পাবলিশার্স। আমাদের দেশনেত্রী ও বিশ্বে প্রশংসিত প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিনে তার দীর্ঘায়ু কামনা করি। আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখে গেছেন তার সুযোগ্য কন্যা তা আমাদের মাঝে পথিত করেছেন গর্বিতভাবে ৷