চাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ২
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চাঁদপুর
|
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ২
জাতীয়
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মেহেদী হাসান (১৪) নামের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ওই সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হয় দুই বন্ধু নেওয়াজ (১৪) ও রবিন (১৩)।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের মাইজের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওইদিন সূচিপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহেদী বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তার উপর খেলাধুলা করছিল।
তখন বিদ্যুতের খুঁটি থেকে ছুটে পড়া তারে মেহেদী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে। ওই সময় তাকে রক্ষা করতে গিয়ে দুই বন্ধু নেওয়াজ ও রবিন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হয়ে আত্মচিৎকার শুরু করে।
বিজ্ঞাপন
নিহত মেহেদীর বাবা মিজানুর রহমান জানান, ডাক চিৎকার শুনে আমি দৌড়ে গিয়ে শুকনো বাঁশ দিয়ে সন্তানকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করি। পরবর্তীতে তাকে শাহরাস্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সাথে তার দুই বন্ধুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়্যারম্যান লোকমান হোসেন লিটন বলেন, পরিবারটির কোনো আপত্তি না থাকার কারণে কিশোরটির দাফন করতে বলা হয়েছে।
খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ফেনী জেলা ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ১০টার দিকে শহরের শহিদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন। এর কিছুক্ষণ পর রাত পৌনে ১১ টার দিকে শহরের বড় মসজিদ রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি শহরের ট্রাংক রোড হয়ে মডেল থানা ঘুরে খেজুর চত্ত্বরে সমাবেশে মিলিত হয়।
এসময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ‘গুপ্তচরের কালো হাত ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও ’ ‘গুপ্তচরের সন্ত্রাসীরা হুশিয়ার সাবধান, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’সহ নানা স্লোগানে এ বিক্ষোভ করেন।
এর আগে কুয়েটের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদলের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ও নিরাপদ শিক্ষাঙ্গনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও শিক্ষার্থী সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্ম।
কুয়েটে হামলার প্রতিবাদে ফেনীতে বিক্ষোভ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
এসময় শিক্ষার্থীরা 'কুয়েটে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই', আমার ভাই আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই,ছাত্রদলের কালোহাত ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও,রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়। কুয়েট তোমার ভয় নাই, আমরা আছি লাখো ভাই, সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও, 'আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম, সংগ্রাম' দালালী না রাজপথ, রাজপথ-রাজপথ' কুয়েটে হামলা করে ইন্টেরিয়েম কি করে' এমন নানা প্রতিবাদী স্লোগান দেয়।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফেনীর অন্যতম সংগঠক আব্দুল কাইয়ুম সোহাগ বলেন, একটি ফ্যাসিবাদ দোসরের পতনের পরে বিগত সময়ে ছাত্রলীগ যেভাবে ক্যাম্পাসে ছাত্রদের উপর অত্যাচার দেখতে পেয়েছি সে কায়দায় সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলা হয়েছে। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা এত প্রাণ জরিয়েছি নতুন বাংলাদেশ গঠনের জন্য, কিন্তু এখনও সে আগের রুপ দেখা যাচ্ছে।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নাদের চৌধুরী বলেন, ছাত্রদল হোক আর যে হোক যারা ফ্যাসিবাদের কায়দায় আবির্ভাব হবে তাদের রুখে দেয়া হবে। ছাত্র ভাইদের উপর হামলার বিচার না করা হলে সরকারকেও এর জবাব দিতে হবে।
ছাত্রদলের সমাবেশে ফেনী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাউদ্দিন মামুন বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা অর্জিত হলেও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার গুপ্তচর সংগঠন ছাত্রলীগ সেই ধারাবাহিকতায় আজও তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, ছাত্রদল যখন তারেক রহমানের নির্দেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয়তাবাদের বার্তা নিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখনই গুপ্তবাহিনী হামলা চালায়। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলারকারীদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। তারেক রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রদল বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দেবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ছাত্রদলের মিছিলে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন রিয়াদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী জুয়েল, সাইফুল ইসলাম জিকু, দপ্তর সম্পাদক আরিফুল হক চৌধুরীসহ ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বরিশালে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা এবং কুপিয়ে জখম করার মামলায় কবির হোসেন সিকদার নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ রকিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার আসামি কবির রায়ের সময় পলাতক ছিলেন।
২০১২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বরিশালের মুলাদী উপজেলার একটি মাদ্রাসার ছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হলে, কবিরসহ অজ্ঞাত কয়েকজন তার মুখ চেপে ধরে বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। ছাত্রী চিৎকার করলে তার মাথা ও ঘাড়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
পরদিন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা কবিরসহ পাঁচজনকে আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ কেবল কবিরকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
মামলায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত কবির হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এই রায়ে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে আইনের কার্যকর প্রয়োগের প্রতিফলন ঘটেছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ফেনীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
|
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয়
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে ফেনীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফেনীর উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। মিছিলটি শহরের শহিদ মিনার প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে ট্রাংক রোড, বড় মসজিদ রোড ঘুরে শহিদ মিনারে সমাবেশে মিলিত হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা 'কুয়েটে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই', আমার ভাই আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই,ছাত্রদলের কালোহাত ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও,রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়। কুয়েট তোমার ভয় নাই, আমরা আছি লাখো ভাই, সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও, 'আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম, সংগ্রাম' দালালী না রাজপথ, রাজপথ-রাজপথ' কুয়েটে হামলা করে ইন্টেরিয়েম কি করে' এমন নানা প্রতিবাদী স্লোগান দেয়।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফেনীর অন্যতম সংগঠক আব্দুল কাইয়ুম সোহাগ বলেন, একটি ফ্যাসিবাদ দোসরের পতনের পরে বিগত সময়ে ছাত্রলীগ যেভাবে ক্যাম্পাসে ছাত্রদের উপর অত্যাচার দেখতে পেয়েছি সে কায়দায় সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলা হয়েছে। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা এত প্রাণ জরিয়েছি নতুন বাংলাদেশ গঠনের জন্য, কিন্তু এখনও সে আগের রুপ দেখা যাচ্ছে।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নাদের চৌধুরী বলেন, ছাত্রদল হোক আর যে হোক যারা ফ্যাসিবাদের কায়দায় আবির্ভাব হবে তাদের রুখে দেয়া হবে। ছাত্র ভাইদের উপর হামলার বিচার না করা হলে সরকারকেও এর জবাব দিতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক আব্দুল আজিজ বলেন, ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের স্টেক হোল্ডার ছিল। কিন্তু ছাত্রদলের নাম করে কিছু সন্ত্রাসী আমাদের সাধারণ ছাত্রদের উপর হামলা করেছে। আর কোন ফ্যাসিবাদ এ দেশে আসলে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিবে।
শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম বলেন, কুয়েটে আমার ভাইদের উপর যে ন্যাক্কার জনক সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে তার নিন্দা জানাই এবং সন্ত্রাসী দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির কবর রচনা করতে হবে।
এসময় জাতীয় নাগরিক কমিটির ফেনী জেলার সংগঠক জাহিদুল ইসলাম সৈকত, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ফেনীর সহ-সভাপতি মুহাম্মদ নাদের চৌধুরী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক তুহিন আহমেদসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর থানায় আটক আপন ছোট ভাইকে দেখতে গিয়ে এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত ও হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার ৭ দিন পর সেই সেনা কর্মকর্তার নিকট দুঃখ প্রকাশ করেছেন গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল বাসার।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বেলা সাড়ে ১১টায় ওসির কক্ষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের উপস্থিতিতে দুঃখ প্রকাশ করলে, ঘটনার সমাধান হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা, প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ১১ ফেব্রুয়ারী রাতে জুয়া খেলার অপরাধে আটক হয় গোমস্তাপুর উপজেলার ভেড়িবাজার গ্রামের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মো. আইনাল হকের ছোট ভাই। পরদিন সকালে ১২ ফেব্রুয়ারী ছোট ভাইকে দেখতে ও খোঁজখবর নিতে থানায় যান আইনাল হক। এসময় বিভিন্ন কথাবার্তা বলার জের ধরে তাকে এক পুলিশ সদস্য কলার ধরে ওসির কক্ষে নিয়ে যায়। ওসির কক্ষে নিয়ে গিয়ে তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ আনেন আইনাল হক।
এনিয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আইনাল হক বলেন, এলাকার কিছু সমস্যা নিয়ে থানায় কথা বলতে যায় এবং ঘুষবানিজ্য বন্ধসহ বিনা অপরাধে যাতে কাউকে হয়রানী করা না হয়, এবিষয়ে পুলিশের সাথে কথা বলি। এসময় ওসিসহ আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য উচ্চবাক্য ও অশোভন আচরণ করে। এমনকি আমার শার্টের কলার ধরে জোরপূর্বক ওসির রুমে নিয়ে গিয়ে যায় দুজন পুলিশ সদস্য। এসময় আমাকে তুই-তোকারি করে নানারকম বাজে মন্তব্য করেন ওসিসহ সেখানে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা। এর প্রতিবাদ জানালে পুলিশ সদস্যরা আমাকে চুপ থাকতে বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমার পরিচয় ও সেনাবাহিনীতে কর্মক্ষেত্র নিয়েও বিদ্রুপ করেন সেখানে উপস্থিত এক নারী পুলিশ সদস্য। এসময় হাত দিয়ে পিস্তলে গুলি করার ইশারা দেখায় এক পুলিশ সদস্য।
এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনার বিবরণ দিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশ মহাপরিদর্শক ও ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের নিকট এর বিচার দাবি করেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আইনাল হক।
তিনি জানান, এর জের ধরেই মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) থানায় ওসির কক্ষে হাত ধরে ক্ষমা চেয়ে সমাধান করেন ওসি খায়রুল বাসার। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ, স্থানীয় বাসিন্দা ও আইনাল হকের ঘনিষ্ঠ লোকজন ওসির কক্ষে ও কক্ষের সামনে অবস্থান করছিলেন।
ওসির কক্ষে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক মোত্তাসিন বিশ্বাস। তিনি জানান, ওসি ও সাবেক সেনা সদস্য আইনাল হকের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝি ছিল। তা সমাধান হয়ে গেছে।
এনিয়ে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল বাসার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জুয়া খেলার সময় ১০ জনকে আটক করে পুলিশ। এদের মধ্যে একজন আইনাল হকের ভাই ছিল। এর জের ধরে তিনি (আইনাল হক) থানায় এসে তার ভাইকে ছেড়ে দেয়া ও জব্দকৃত টাকা ফেরতের দাবি জানান। তাতে অস্বীকৃতি জানালে বাক-বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এর সূত্র ধরেই সমন্বয়কদের নিয়ে আজ (মঙ্গলবার) থানায় আসেন তিনি। এসময় পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করেন। এমন কিছু হয়ে থাকলে উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেছি তার কাছে। কলার ধরে ওসির রুমে নিয়ে লাঞ্ছিত ও হুমকি দেয়ার কথা অস্বীকার করেন তিনি।