গাইবান্ধায় ফের বন্যা, করতোয়া-ঘাঘটের পানি বিপৎসীমার উপরে

, জাতীয়

তোফায়েল হোসেন জাকির, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা | 2023-08-27 12:19:11

চলতি বছরে গাইবান্ধা জেলায় ৪ দফা বন্যা হবার পর নতুন করে ৫ম দফায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। এতে জেলার ব্রহ্মপুত্র-তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে করতোয়া ও ঘাঘট নদের পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোলরুম থেকে জানানো হয়, করতোয়া নদীর পানি ১০৬ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি ১৮ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র ৫ সেন্টিমিটার ও তিস্তার পানি ৫৪ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে।

জানা যায়, গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে নদীর
তীরবর্তী ও নিচু এলাকার সহস্রাধিক ঘরবাড়ি ও রোপণ করা আমন ধানসহ অন্যান্য ফসলাদি পানিতে তলিয়ে গেছে। একইসঙ্গে ভেসে গেছে শতশত হেক্টর পুকুরের মাছ। এছাড়া বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপর্যস্ত ঘটেছে। ভেঙে গেছে পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধও।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পানিবন্দী মানুষরা গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে। তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধপানি, টয়লেট, খাদ্য ও আবাসনের অভাব। ফলে বন্যা আক্রান্তের শিকার মানুষগুলো দিশেহারা হয়ে পড়েছে। যেনো দুর্ভোগের অন্ত নেই তাদের।

ছবি: বার্তা২৪.কম

বিশেষ করে গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলা বন্যা আঘাত বেশী হেনেছে।গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত, ফুলবাড়ি, তালুক কানপুর, সাপমারা, নাকাই হরিরামপুরসহ আরও অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পলাশবাড়ী উপজেলার কাশিয়াবাড়ী, পশ্চিম মির্জাপুর, কিশোরগাড়ী গ্রামসহ এখানে প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দী রয়েছে।

বন্যার শিকার নাজিম উদ্দিন নামে এক কৃষক বলেন, চলমান বন্যায় ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে। এমতাবস্থায় স্ত্রী-সন্তান ও গরু-ছাগল নিয়ে বিপাকে পড়েছি। সেই সঙ্গে খাদ্যের অভাবও রয়েছে।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, এরইমধ্যে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হচ্ছে। দুর্ভোগে পড়া মানুষগুলোর জন্য আশ্রয় কেন্দ্রসহ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ চলমান রয়েছে। এটি মোকাবিলায় সর্বাত্নকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর