পাচার হওয়ার আগেই দুই শিশুকে উদ্ধার করল সিআইডি

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-25 01:44:18

মাহিয়া আক্রার পিংকি (১৩) ও মো. বিপ্লব বেপারী (১০) ফরিদপুরের কোতয়ালী থানা এলাকায় খালা বাড়িতে থাকত। গ্লাস ভাঙার জের ধরে বকা খেয়ে খালার বাড়ি থেকে দাদার বাড়ির উদ্দ্যেশ্যে বের হয় তারা। কিন্তু পথ ভুলে গিয়ে রাজধানী ঢাকা চলে আসে।

অন্যদিকে এই দুই শিশুর খোঁজ না পেয়ে তাদের খালা সালেহা বেগম ফরিদপুরের কোতয়ালী থানায় এ সংক্রান্ত মামলা করে। এদিকে অচেনা জায়গায় এসে রাজধানীর এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গায় ঘুরতে থাকে এই দুই শিশু। পরে সিআইডির সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের একটি দলের ৪৮ টানা অভিযানের পর সম্ভাব্য পাচার হওয়ার আগে এই দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) মালিবাগে অবস্থিত সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি। ছবি: বার্তা২৪.কম
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি। ছবি: বার্তা২৪.কম

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল্লাহ হেল বাকী বলেন, এই দুই শিশুর মা গত ১ বছর ৫ মাস ধরে জর্ডানে কাজ করছে। মা বাবার মধ্যে খারাপ সম্পর্ক থাকায় তারা খালার বাড়িতে থাকতো। কিন্তু গ্লাস ভাঙ্গা নিয়ে খালা বকা দেওয়ায় তারা দুই ভাই বোন খালার বাসা থেকে গত ২১ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসা যাওয়ার কথা বলে বের যায়। তাদের উদ্দ্যেশ্য ছিল দাদার বাড়িতে যাওয়ার, কিন্তু পথ হারিয়ে তারা ঢাকা চলে আসে।

পরে সম্ভাব্য পাচার হওয়ার আগে রাজধানীর ভাটারা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র এএএসপি আমিনুল হক বলেন, আমাদের কাছে যখন বিষয়টি আসে তখন আমরা তদন্ত করা শুরু করি। শিশুগুলো রাজধানীর কোনো এক মোবাইল ফোনের দোকান থেকে তাদের বাবাকে ফোন দিয়ে শুধু বলে আব্বু, আব্বু। কলটির সময় ছিল ২০ সেকেন্ড। পরে সেই কলের সূত্র ধরে আমরা শিশুটিকে খুঁজতে থাকি। পরে একদিন এই দুই শিশু গুলান মোড়ে বসে কান্না করতে ছিল সেই সময় এক রিকশা চালক তাদের তার বাড়িতে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, পরে রিকশা চালক শিশুদের কাছ থেকে তার বাবার নাম্বার নিয়ে ফোন দিয়ে বলে আপনার বাড়ি কি ফরিদপুর। এই বলে রিকশা চালক ফোন রেখে দেয় এবং বন্ধ করে ফেলে। কলের এই বিষয়টি আমাদের নজরে আসলে আমরা তদন্ত শুরু করি। পরে টানা ৪৮ ঘণ্টা রিকশা চালকের ফোন নাম্বারটি কল ট্রেস করে রাজধানীর ভাটারা থেকে এই দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ধারণা ঐ রিকশা চালক প্রথমে মানবিক কারণে শিশুও দুই জনকে তার বাসায় নিয়ে যায়। কিন্তু পরে তার মনে হয়তো তাদের পাচার করার চিন্তা আসে সেই জন্য সে তারা নিজের ফোন বন্ধ করে ফেলে। আর সম্ভাব্য পাচারের আগেই আমরা তাদের উদ্ধার করি। তবে এই এখনো কাউকে আমরা আটক করিনি। আমরা তদন্ত করছি, পাচারের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া পর আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

এ সম্পর্কিত আরও খবর