‘নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা হতে আবেদনের সুযোগ নেই’
নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার জন্য আবেদনের আর কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক।
রোববার (৫ মে) সংসদে সরকারি দলের সদস্য মো. মাইনুল হোসেন খানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বেশ কয়েক দফা মুক্তিযোদ্ধা তালিকা সংশোধন করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য অনলাইনে সর্বশেষ বার আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। এসব আবেদন উপজেলা, জেলা কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে পরবর্তীতে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে। এখন নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার জন্য আবেদনের আর কোনো সুযোগ নেই।
সরকারি দলের অপর সদস্য তারানা হালিমের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানই দেশে সর্বপ্রথম বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সূচনা করে। তার সময়ে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর অনেক সদস্যকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত সংসদে উপস্থাপনের জন্য তিনি সংসদ সদস্য তারানা হালিমকে একটি নোটিশ দেওয়ার পরামর্শ দেন।
মো. মাইনুল হোসেন খানের অপর একটি তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেন, বর্তমানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টি পর্যালোচনাধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘২০০৩-২০০৪ অর্থবছরে ৪০ হাজার জন বীর মুক্তিযোদ্ধা বা উপকারভোগীকে ৩০০ টাকা হারে প্রথম মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বর্তমান সরকার প্রতিনিয়ত মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতার পরিমাণ বেশ কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে মাসিক ২০ হাজার টাকা সম্মানি ভাতাসহ বাৎসরিক ২টি উৎসব ভাতা ১০ হাজার টাকা হারে প্রদান করা হচ্ছে।
গত ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীগণকে রাষ্ট্রীয় সম্মানি ভাতার পাশাপাশি বাংলা নববর্ষ ভাতা বাবদ জনপ্রতি ২ হাজার টাকা হারে এবং ভাতাপ্রাপ্ত জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মহান বিজয় দিবস ভাতা বাবদ জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা হারে প্রদান করা হচ্ছে।