আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠটি উন্নয়ন করে তা এলাকার জনগণের জন্য নান্দনিক খেলার মাঠ হিসেবে উন্মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (২১ অক্টোবর) সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার, আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন খেলার মাঠ এবং কেন্দ্রীয় কারাগার ঘিরে গৃহীত প্রকল্প ও প্রকল্প অনুষঙ্গগুলো পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠ ও পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার ঘিরে কারা কর্তৃপক্ষের গৃহীত পরিকল্পনা সরেজমিনে প্রদর্শনের পর ডিএসসিসি মেয়র তাপস বলেন, পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার এবং আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠ ও পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার ঘিরে কারা কর্তৃপক্ষের গৃহীত পুরো প্রকল্পের অনুষঙ্গগুলোর আদ্যোপান্ত আমি অবলোকন করেছি। প্রকল্পে কিছু পরিবর্তন আনা সমীচীন হবে বলে আমি মনে করি। কারণ, প্রধানমন্ত্রী চান এখানে নান্দনিক পরিবেশ বিরাজ করুক। উন্মুক্ত খেলার মাঠ থাকুক। তাই এই মাঠকে উন্মুক্ত খেলার মাঠ হিসেবে খুলে দেয়ার জনদাবি রয়েছে। আমি জনগণের সেই দাবির সাথে সহমত পোষণ করছি।
এলাকার জনগণের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে এই মাঠ উন্মুক্ত করা হবে জানিয়ে তাপস আরো বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ চাইলে ওনারা এই মাঠের উন্নয়ন করতে পারেন। নতুবা আমরা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন হতেও এই মাঠের উন্নয়ন করে এলাকার জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারি। আমাদের প্রধান বিবেচ্য বিষয় হলো, এই এলাকার জনগণ যাতে এই মাঠের সুবিধা গ্রহণ করতে পারে।
এ সময় পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার ঘিরে গৃহীত প্রকল্পের অন্যান্য অনুষঙ্গ নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, প্রকল্পটি এমনভাবে বাস্তবায়ন করা হবে যেন আমাদের নতুন প্রজন্ম জানতে পারে, উপলব্ধি করতে পারে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার কি পরিমাণ ত্যাগের মহিমায় এই দেশকে স্বাধীন করেছে।
ডিএসসিসি মেয়র এ সময় প্রকল্পের আওতায় জেলখানা ঘিরে থাকা ইতিহাস-ঐতিহ্যও সংরক্ষণ করা হবে জানান।
পরে ডিএসসিসি মেয়র ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের চিত্রামহল পার্কের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম, ৩৮-৪১-৪২ নম্বর ওয়ার্ডস্থ ধোলাইখালের বিভিন্ন এলাকা এবং ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের ডিআইটি মার্কেট, পানির ট্যাংক ও সিটি করপোরেশন মার্কেট পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে ডিএসসিসি মেয়রের সাথে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম, আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মামুন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের ওয়ার্ড কাউন্সিলরবৃন্দ, করপোরেশন সচিব আকরামুজ্জামান, ৩ ও ৪ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।