প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থান

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষ মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে উত্তেজনার পর নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করে কাকরাইল মসজিদসহ আশেপাশের সড়কে পবিত্র জুম্মার নামাজ আদায় করেছেন সাদপন্থীরা। এদিকে, নামাজ পরবর্তী বিশৃঙ্খলা রুখে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিরাপত্তায় নিশ্চিতে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বেলা ১২টার আগে থেকেই রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে নামাজের প্রস্তুতি নেন উপস্থিত মুসল্লীরা। এরপর উপস্থিত ইমামদের বয়ানের মধ্যে দিয়ে খুতবা শেষে শুরু হয় নামাজ। নামাজ শেষ হতেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসেের বাসভবনমুখী সড়কে সতর্ক অবস্থান নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এর আগে সকালে তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষ মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে ফের উত্তেজনা বিরাজ করে। কাকরাইলের মারকাজ মসজিদে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে হটিয়ে দখলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে।

বিজ্ঞাপন

এরইমধ্যে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে কাকরাইলের মারকাজ মসজিদের সামনে অবস্থান নিয়েছে সাদপন্থীরা। এদিন সকাল ৮টার পরে মসজিদে প্রবেশ করেন সাদপন্থীরা।

এ সময় কাকরাইল মসজিদে সামনে থেকে বিচারপতির বাস ভবন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ভিআইপি সড়কসহ আশে পাশের বেশ কিছু এলাকায় রাস্তায় বসে পড়েছে সাদ অনুসারীরা।

জানা যায়, ২০১৭ সালের নভেম্বর দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব প্রথম প্রকাশ্য রূপ নেয়। সেদিন কাকরাইলে দু’দল কর্মীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। চরম বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় গত ৭ বছর ধরে প্রশাসনের সিদ্ধান্তে কাকরাইল মসজিদের এক অংশে জুবায়েরপন্থিরা ৪ সপ্তাহ ও সাদপন্থিরা দুই সপ্তাহ করে পর্যায়ক্রমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।

তবে মসজিদের অপর অংশ জুবায়েরপন্থিরা ১২ মাসই নিজেদের দখলে রাখেন। সাদপন্থিদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে হেফাজত সমর্থিত জুবায়েরপন্থিরা বেশি সুবিধা ভোগ করে আসছেন। টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার মাঠ নিয়েও দুই পক্ষের বিরোধ দিনে দিনে তীব্র হচ্ছে।