ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মৃত ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর কবরস্থানে দাফনের সময় নড়েচড়ে ওঠা সেই নবজাতক মরিয়ম মারা গেছে। ঢামেক আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল সে।
বুধবার (২১ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া।
তিনি বলেন, দাফনের সময় জীবিত উদ্ধার হওয়া নবজাতকটি রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে আইসিইউতে মারা গেছে।
জানা গেছে, গত ১৪ অক্টোবর অন্তঃসত্ত্বা অসুস্থ স্ত্রী শাহিনুর বেগমকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন বাসচালক ইয়াসিন। তাকে গাইনি বিভাগের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ওই সময় নির্দিষ্ট সময়ের আগে অপরিপক্ব অবস্থায় জন্ম নেয় মরিয়ম। কিন্তু জন্মের পর জীবিত থাকার কোনো লক্ষণ না পাওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে দাফনের উদ্দেশে তাকে রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নিয়ে যায় বাবা ইয়াসিন। কবর খোঁড়ার শেষপর্যায়ে শিশুটি কান্নাকাটি করে ও নড়ে ওঠে। এরপর আবারো তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। শিশুটিকে তখন অশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালটির আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
এদিকে জীবিত শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করে ডেথ সার্টিফিকেট দেয়ায় ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ঢামেকের পরিচালক এ ঘটনার জন্য নিজেদের চিকিৎসক ও হাসপাতালের ব্যর্থতাকে দায়ী করেন। তবে তা ইচ্ছাকৃত নয় বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
এর আগে (২০ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, ২৮ সপ্তাহের আগে একটি শিশু ভূমিষ্ঠ হয় না। এই শিশুটি ২৬ সপ্তাহের ছিল। বাচ্চা জন্মের পর শ্বাস-প্রশ্বাস নড়াচড়া কিছুই ছিল না। তারপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে চিকিৎসকরা ডেথ সার্টিফিকেট দেয়। তবে শিশুটি যদি সত্যি বেঁচে যায়, তবে সেটি মিরাকেল হবে।