বরগুনার বহুল আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত (রিফাত শরীফ) হত্যা মামলায় কিশোর ১৪ আসামির রায় মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে।
গত ১৫ অক্টোবর যুক্তিতর্ক গ্রহণ শেষে বরগুনা জেলা শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান রায়ের জন্য এ তারিখ ঘোষণা করেছিলেন। তারিখ ঘোষণার আগে চার্জশিটের ৭৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭৪ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
শিশু আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা প্রমাণে সক্ষম হয়েছেন দাবি করে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন। অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. শাহজাহান দাবি করেন তার আসামিরা নির্দোষ। আদালতের রায়ে তারা নির্দোষ প্রমাণিত হবে।
চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান।
গতবছরের ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে তার স্ত্রী মিন্নির সামনে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর ওই দিন বিকেলে তিনি মারা যান।
হত্যাকাণ্ডের পরদিন ২৭ জুন নিহত রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা হত্যা মামলা দায়ের করেন।
১ সেপ্টেম্বর নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী মিন্নিসহ ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনসহ মোট ২৪ জনের নামে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির। রিফাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান মিন্নিসহ ৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৪ আসামিকে খালাস প্রদান করেন।
কিশোর ১৪ আসামিরা হলেন- রাশিদুল হাসান রিশান ফরাজী, মো. রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার, মো. আবু আবদুল্লাহ রায়হান, মো. ওলিউল্লাহ অলি, জয় চন্দ্র সরকার চন্দন, মো. নাইম, মো. তানভীর হোসেন, নাজমুল হাসান, রাকিবুল হাসান নিয়ামত, মো. সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ, মারুফ মল্লিক, প্রিন্স মোল্লা, রাতুল সিকদার জয় ও আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ।
আসামিদের ৮ জন জামিনে ও বাকি ৬ জন কারাগারে আটক আছেন। কিশোর ১৪ আসামির ৭ জনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।