রংপুরে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত আরও দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সকালে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই পুলিশের এক কর্মকর্তা।
তিনি জানান, রংপুরের হারাগাছে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় আজ মঙ্গলবার ভোরে লালমনিরহাট থেকে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন- লালমনিরহাট সদরের পূর্ব মাজাপাড়া এলাকার করি মাহমুদের ছেলে বাবুল হোসেন (৩৮) ও পূর্ব থানা পাড়ার মৃত কাচু মিয়ার ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪০)।
তিনি আরও জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ওই দুজনকে লালমনিরহাট থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
এর আগে গণধর্ষণের ওই ঘটনায় সুমাইয়া আক্তার মেঘলা ওরফে আলেয়া ও তার সহযোগি সুরভি আক্তার ওরফে শম্পাকে গ্রেফতার করে হারাগাছ থানা পুলিশ। এছাড়া ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার এএসআই রায়হানুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করার পাশাপাশি তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (২৫ অক্টোবর) সকালে রংপুর মহানগর পুলিশের হারাগাছ থানাধীন ক্যাদারের পুল এলাকার এক ভাড়াটিয়ার বাড়িতে নবম শ্রেণি পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে পুলিশ সদস্য রায়হানুল ইসলাম ওরফে রাজুসহ দু'জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হারাগাছ থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনার দিন রাতে অসুস্থ ওই ছাত্রীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করানো হয়।
অধিকতর তদন্তের স্বার্থে সোমবার মামলাটি হারাগাছ থানা থেকে রংপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়। তদন্তের দায়িত্বভার গ্রহণের ২৪ ঘণ্টা না পেরুতেই দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পিবিআই পুলিশ।