কুমিল্লার হোমনায় বউকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ মরিচ খেতে রেখে সন্তানদের নিয়ে পালিয়েছে স্বামী।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) উপজেলার চম্পকনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত জাকির উপজেলার ইটাভরা গ্রামের মো. দাদন মিয়ার ছেলে।
নিহত নাছিমা আক্তারের বাবা মো. ওহাব আলী জানান, যৌতুকের জন্য মেয়েকে তার স্বামী প্রায়ই নির্যাতন করতো। কয়েক দফা বিচারও হয়েছে। কয়েক দিন আগে তাকে মারধর করলে সে আমার বাড়িতে চলে আসে। এনিয়ে আমার মেয়ে বাদী হয়ে হোমনা থানা জিডিও করে। তিনদিন আগে তার স্বামী মা চেয়ে তাকে বাড়ি নিয়ে যায়। শুক্রবার পুনরায় স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া হয়। সে পুনরায় চম্পকনগর চলে আসে।
হোমনা থানার ওসি আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, শুক্রবার রাতে স্বামী জাকির ফোনে স্ত্রী নাছিমাকে বাড়ির বাইরে আসার জন্য মোবাইল ফোনে ডেকে নেয়। শনিবার সকালে স্থানীয়রা বাড়ির পাশে মরিচ খেতে নাছিমার লাশ দেখতে পায়। আমরা লাশ উদ্ধার করি। মরদেহ দেখে মনে হচ্ছে- তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রীকে হত্যা করে জাকির হোসেন ১২ বছরের ছেলে বাওয়ান ও ৮ বছরের এক মেয়ে জাকিয়াকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।