রাজধানীর আদাবরে মানসিক হাসপাতালে কর্মচারীদের মারধরে পুলিশের সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম শিপনের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলায় হাসপাতালটির রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে এএসপি আনিসুল করিমের মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা ফয়েজ উদ্দিন বাদী হয়ে আদাবর থানায় মামলা করেছেন। এ মামলায় চিকিৎসকসহ এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
তারা হলেন- মামলায় মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয় (৩৫), কো-অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির, কিচেন শেফ মাসুদ (৩৭), ওয়ার্ড বয় জুবায়েত হোসেন (১৯), ওয়ার্ড বয় তানভীর হাসান (১৮), ফার্মাসিস্ট তানিফ (২০), ওয়ার্ড বয় সঞ্জীব চৌধুরী (২০), ওয়ার্ড বয় অসীম চন্দ্র পাল (২৪), ওয়ার্ড বয় লিটন আহাম্মদ (১৮) ও ওয়ার্ড বয় সাইফুল ইসলাম পলাশ (৩৫)।
প্রসঙ্গত, গত ৯ নভেম্বর বেলা ১১টায় আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে হাসপাতালটির কর্মচারীদের মারধরে মারা যান সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম শিপন। তিনি ৩১তম বিসিএসে পুলিশ প্রশাসনে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। পরদিন ১০ নভেম্বর সকালে নিহত এএসপি আনিসুল করিমের বাবা ফয়েজ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
ওই দিন ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার হারুন অর রশীদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘মাইন্ড এইড হাসপাতালে এএসপি আনিসুল করিম নিহতের ঘটনাটি একটি হত্যাকাণ্ড। এই ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এই হাসপাতালের স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোনও অনুমোদন নেই, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের কোনও অনুমোদন নেই, চিকিৎসক নেই। আমরা ইতোমধ্যে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছি।’