বাড়িগুলোর নামই সাঁকোওয়ালা বাড়ি

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল | 2023-08-26 00:14:09

খালের পাশ দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পাঁকা রাস্তা। আর খালের আরেকপাশে কয়েকটি পরিবারের বসবাস। বসবাস করা এসব পরিবারের সদস্যরা নিজেদের অর্থায়নে খালের উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো পাড়ি দিয়ে যেতে হয় তাদের বাড়িতে। এই কারণেই বাড়িগুলোর নাম দেয়া হয়েছে সাঁকোওয়ালা বাড়ি।

সরেজমিনে টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া গ্রামে গিয়ে এমন সাঁকোওয়ালা বাড়ি দেখা গেছে।

জানা গেছে, উপজেলার অবহেলিত ঝনঝনিয়া গ্রামে পাঁকা রাস্তা ছিল না। এতে ওই এলাকার মানুষজন কাঁচা রাস্তা দিয়ে চলাচল করেছে। সম্প্রতি সেই এলাকায় পাঁকা রাস্তার নির্মাণ কাজ চলছে। রাস্তার পাশ দিয়েই খাল বয়ে গেছে। আর এই খালের উপর নির্মিত ভাঙাচোরা বাঁশের সাঁকো দিয়ে বাড়িতে যেতে হয় কয়েকটি পরিবারের। সেখানে তিনটি পরিবার বসবাস করছে। এদের মধ্যে দুই পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি ভ্যান চালক ও এক পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন। খালের ওপার বাড়ি হওয়ায় ভ্যানগুলোও অন্যের জিম্মায় রাখতে হয় রাতে। ওই পরিবারগুলোতে ৬ জন শিশু সন্তান রয়েছে। ফলে শিশুসহ বাড়ির অন্যদের ঝুঁকি ভাঙা সাঁকো পাড় হতে হয়। এতে অনেক সময় শিশুরা পড়ে গিয়ে আহত হয়।

ঝুঁকি নিয়ে পার হয় শিশুরা। ছবি: বার্তা২৪.কম

পাচঁ বছরের শিশু লিমা জানায়, তাদের বাড়ি নাম হয়েছে সাঁকোওয়ালা বাড়ি। ভাঙা সাঁকো পাড় হতে পরে যাই। অনেক কষ্টে ধরে ধরে স্কুলে যাওয়ার সময় সাকোঁ পাড় হই।

ঝনঝনিয়া গ্রামের সাকোঁয়ালা বাড়ির মর্জিনা বেগম বলেন, এখানে তিনটি পরিবার বাস করে। দিন আনে দিন খাই। বাড়ি থেকে রাস্তায় যাওয়ার মত কোন পথ নেই খাল পাড় হওয়ার। নিজেদের টাকায় বাঁশের সাঁকো বানিয়েছিলাম কিন্তু সেটা ভেঙে গেছে। মেরামতের টাকা নাই। তাই ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পাড় হতে হয়। অনেক সময় শিশুরা পড়ে গিয়ে আহত হয়।

শরিফুল ইসলাম বলেন, গরীব মানুষ আমরা। অনেক কষ্টে বাঁশের সাঁকো বানিয়েছিলাম। কিন্তু দিনদিন বাঁশ ভেঙে যাচ্ছে। মেরামত করবো সেই সামর্থ্য নেই।

ঝনঝনিয়া গ্রামের অনেকেই জানান, তারা দরিদ্র মানুষ। কেউ ভ্যান চালিয়ে কেউ বা শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালায়। খালের পাড়ে বাড়ি হওয়ায় ব্যাপক সমস্যায় রয়েছে তারা।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর