করোনাভাইরাস শনাক্তে দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হয়েছে। অনুমতি পাওয়ার প্রায় দুই মাস পর এই পদ্ধতিতে করোনা শনাক্ত শুরু হলো।
শনিবার (৫ ডিসেম্বর) প্রাথমিকভাবে ১০ জেলায় অ্যান্টিজেন পরীক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এ সময় করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সবাইকে মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দ্রুত সময়ে করোনা শনাক্তে অ্যান্টিজেন টেস্ট কার্যকর ভূমিকা রাখবে। অল্প সময়ের মধ্যে আমরা দেশের সব জেলাতে অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু করব।
স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে যেসব জেলায় আর-টি পিসিআর টেস্টের সুযোগ নেই, সেসব জেলাতেই অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু করা হলো। সে চিন্তা থেকেই প্রান্তিক জেলাগুলোতে শুরু করতে চেয়েছিলাম প্রথম থেকে।’
দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে যেসব জেলায় আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস পরীক্ষার সুবিধা নেই কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সংক্রমণের হার বেশি, এমন ১০টি জেলাকে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য বেছে নেয়া হয়েছে। এই জেলাগুলো হচ্ছে- গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, যশোর, মেহেরপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পটুয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর ও সিলেট।
এর আগে অ্যান্টিজেন টেস্টের জন্য এসব জেলার কোভিড-১৯ এর জন্য নির্ধারিত হাসপাতালগুলোতে টেস্ট কিট পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফ্তর সূত্রে জানা যায়, এসব জেলার শুধুমাত্র যাদের মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ রয়েছে তাদেরকেই অ্যান্টিজেন পরীক্ষার আওতায় আনা হবে। এর মধ্যে যাদের ফল পজিটিভ আসবে তাদেরকে সাথে সাথে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা হবে যেন সংক্রমণ ঠেকানো যায়। অন্যদিকে উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও কারও টেস্টের ফল যদি নেগেটিভ হয় তাহলে পুনরায় তার আরটি পিসিআর পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হবে। কারণ অ্যান্টিজেন টেস্টে দ্রুত ফল এলেও এতে ফলস নেগেটিভ অর্থাৎ নেগেটিভের ভুল ফল আসার আশঙ্কাও বেশি থাকে।অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য সরকার এখনো কোনো ফি নির্ধারণ করেনি।
এর আগে, গত ১০ জুলাই নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্তে নমুনা পরীক্ষার সুযোগ প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কভিড-১৯ মোকাবেলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিও ঔষধ প্রশাসনকে অ্যান্টিজেন নির্ভর পরীক্ষার অনুমতির জন্য পরামর্শ দেয়।