রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে কর্মচারীর সাথে বাকবিতণ্ডার জের ধরে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে হাসপাতালে ধর্মঘট শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ ইন্টার্ন চিকিৎসক কর্মবিরতিতে রয়েছেন। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ২টার দিকে এক রোগীর ছাড়পত্রে স্বাক্ষর নিতে হাসপাতালের কার্ডিওলোজি বিভাগের ৩৬ নং ওয়ার্ডের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী শহিদুল ইসলাম সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. হাবিবের কাছে যান। এসময় ডা. হাবিব ব্যস্ত থাকায় তিনি ইন্টার্ন চিকিৎসকের কাছে যেতে বলেন। শহিদুল ওই ওয়ার্ডের ইন্টার্ন চিকিসৎকের কাছে গিয়ে ছাড়পত্র দেন। এসময় কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসকও তার ব্যস্ততার কথা জানালে উভয়ের মধ্যে এনিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেরে কার্ডিওলোজি বিভাগের ক্ষুদ্ধ ইন্টার্ন চিকৎসকেরা ধর্মঘটের ডাক দেন। পরে অন্য ওয়ার্ডের ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও এ কর্মসূচিতে যোগ দেন। ।
তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে ডাকা এই ধর্মঘটে দুর্ভোগ বাড়িয়েছে রোগীদের। একদিকে করোনা অন্যদিকে শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব, এসময় এ ধরণের ধর্মঘট ডাকা ঠিক হয়নি বলে মনে করছেন রোগীদের সঙ্গে আসা স্বজনেরা।
কার্ডিওলোজি বিভাগে ভর্তি মাজেদ মিয়ার স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, চিকিৎসক জনবল ও ওষুধপত্রের স্বল্পতা এবং মুমূর্ষু রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা তো এই বিভাগে মিলছেই না। তার মধ্যে এখন ধর্মঘট চলছে। কষ্ট তো আমাদের অসহায় মানুষদের।
এদিকে ধর্মঘটের বিষয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. সানাউল হুদা রিয়াদ বলেন, ‘আমরা ধর্মঘট দিতে চাইনি। বাধ্য হয়ে আমাদের সবাই কর্মবিরতি পালন করছে। আমাদের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের যেভাবে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এঘটনার সমাধান না করা পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।’
এব্যাপারে রমেক হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. রোস্তম আলী বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা আলোচনা না করেই ধর্মঘট শুরু করেছে। তাদেরকে ডেকেছি। এ নিয়ে আলোচনায় বসে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।