ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, দখলদারদের দিন শেষ। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি ও অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। সেই নীতিতে আমরা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছি। সময় এসেছে অবৈধদের বিরুদ্ধে আমাদের শক্তিশালী হতে হবে এবং কোনোভাবেই কোনো অবৈধ দখলদার যেন ঠাঁই না পায়। আমরা যে সব খাল দখল উচ্ছেদ করেছি, সেগেুলো ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং করার নির্দেশ দিয়েছি। শুধু তাই না পুরো সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে মনিটরিং করা হবে।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) সকালে মিরপুর-১১ এর এভিনিউ-৪ (পল্লবীতে) দ্বিতীয় দিনের মত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নামে ডিএনসিসি। উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেটা বারবার বলেছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স সেই জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েই আমরা শুরু করেছি। জনগণকে বলবো আপনারা আমাদেরকে সাপোর্ট দিন। খালের দুই পার দখল হয়ে যাচ্ছে, এটি হতে পারে না। রাস্তা দখল হচ্ছে, এটি হতে পারে না। আমার আপনার নিজের জন্য না আমাদের চিন্তা করতে হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। একটি সুন্দর সচল ঢাকা শহর উপহার দেয়ার জন্য। নাগরিকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য যা যা করার দরকার সবকিছু করার প্রচেষ্টা চালাবো ইনশাআল্লাহ।
উচ্ছেদের পর পুনরায় দখল হয়ে যায় এবার উচ্ছেদের পর কিভাবে সেটাকে মনিটরিং করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, সিটি কর্পোরেশনের যতগুলো খাল আমরা যখন থেকে দায়িত্ব পেয়েছি, যেটি যখন দখলমুক্ত করে দেবো, ওখানে কিন্তু খালপাড়ে গাছ লাগিয়ে দিচ্ছি। এই কার্যক্রম নিয়মিত থাকবে। তাছাড়া ড্রোনের মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনের খাল মনিটরিং করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। কেননা একবার পরিষ্কার করে দেয়ার পর বারবার কিন্তু দেখা সম্ভব না। তাই একটা সেন্ট্রাল ডাটা কমান্ড রুম করছি, সেই কমান্ড রুমে সবকিছু চলে আসবে। আমরা চাই ডিজিটাল এর মাধ্যমে পুরো সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম মনিটরিং করতে।