দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ভ্যাকসিন আসার সাথে সাথে এগুলো কিন্তু টেস্ট করা হয়, তারপরও কিন্তু দেওয়া হয়। আমাদের দুর্ভাগ্য কিছু কিছু লোক থাকে একটা নেতিবাচক মনোভাব তারা পোষণ করে। তাদের কাছ থেকে মানুষ কোন সাহায্য পায় না, কিন্তু কোন কাজ করতে গেলে সেখানে বিরূপ সমালোচনা, মানুষের ভেতর সন্দেহ ঢোকানো, ভয় ভীতি দেওয়া এই ধরণের কিছু কাজ করা কারো কারো অভ্যাস আছে। যত ভাল কাজই করেন সবকিছুতে তারা ‘ভাল লাগে না’ নামে রোগে ভোগে। এই রোগের কি চিকিৎসা আছে, আমি জানি না। এরজন্য কোন ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে কি না তাও আমি জানি না। যা হোক, তুবও আমি চাই তারাও সাহস করে আসবেন তাদেরকেও ভ্যাকসিন দিয়ে দেবো যাতে তারা সুরক্ষিত থাকে।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে গণভবন থেকে করোনা ভ্যাকসিন টিকা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পত্রিকা দেখলেই পাবেন, সেখানে সব কিছুতেই সমালোচকরা দোষ খোঁজে। এই ভ্যাকসিন আসবে কি আসবে না। আসলে এতো দাম হল কেন? এটা চলবে কিনা, দিলে কি হবে? নানা প্রশ্ন তাদের। যা হোক তুবও আমি চাই তারাও সাহস করে আসবেন। আমরা তাদেরকেও ভ্যাকসিন দিয়ে দেব, যাতে তারা সুরক্ষিত থাকে। কারণ তাদের যদি কিছু হয় তাহলে আমাদের সমালোচনাটা করবে কে? সমালোচনার লোকও থাকা দরকার। থাকলে আমরা জানতে পারি, আামাদের কোন ভুলভ্রান্তি হলো কিনা। সেজন্য সাধুবাদ দিচ্ছি তাদের সমালোচনা যত হয়েছে, আমরা কিন্তু তত বেশি দ্রুত কাজ করার প্রেরণা পেয়েছি।
ভ্যাকসিন কার্যক্রম উদ্বোধনের পর ভ্যাকসিন নেয়া সবাইকে শুভ কামনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার সুস্থতা কামনা করছি। এরপর আমরা সারাদেশে এই কার্যক্রম শুরু করব। যাতে তাড়াতাড়ি দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করা যায়। চুক্তি অনুযায়ী বাকি ভ্যাকসিনও চলে আসবে।
এ সময় তিনি বলেন, এখন আমার মনে হচ্ছে আমি গিয়ে নিয়ে আসি। আবার আগে আগে নিলে তো বলবে আগে নিয়ে নিলো। সবাইকে দিয়ে, আমি নেবো।