ফেসবুকসহ যেকোনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অসত্য বা মিথ্যা তথ্য প্রচারে জড়িত বাংলাদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলার প্রস্তাব করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। দেশে ও দেশের বাইরে অবস্থানকারী যারাই এ কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এ প্রস্তাব করা হয়েছে।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত কমিটির কয়েকজন সদস্য জানান, অপপ্রচারের সঙ্গে জড়িতদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া যাবে না। তাদের আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- কমিটির সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মো. আফছারুল আমীন, মো. হাবিবুর রহমান, সামছুল আলম দুদু, পীর ফজলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ ও বেগম রুমানা আলী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
কমিটি সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ও দেশের সমসাময়িক পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন জননিরাপত্তা, সুরক্ষা ও সেবা বিভাগ এবং অন্য সংস্থাগুলোর সার্বিক কার্যক্রমের প্রতিবেদন উপস্থাপন ও আলোচনা করা হয়। এছাড়া ১৯৭১ সালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তকাজ পরিচালনায় গঠিত তদন্ত সংস্থা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সার্বিক কার্যক্রমের বিষয়েও প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
এছাড়াও বৈঠকে মাদকাসক্ত আসামিদের ‘বিশেষ অপরাধী’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া, তারা যাতে সহজে জামিন না পায় সে জন্য প্রয়োজনে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করা এবং আগ্নেয়াস্ত্র বরাদ্দের ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের অগ্রাধিকার দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যেক জেলা প্রশাসককে পত্র দেয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।