নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান বেনিফিসিয়ারি। পঁচাত্তর পরবর্তীতে তিনি জাতির পিতার খুনিদের লালন পালন করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার যাতে না হয়, তার জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত করেছিলেন জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধু খুনিদের সংসদে এনেছেন জিয়া। এরশাদ, খালেদা জিয়াও সে পথে চলেছেন।
তিনি বলেন, হাইকোর্ট-সুপ্রিমকোর্ট সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করেছে। পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ হওয়ায় জিয়ার শাসনামল অবৈধ। তার সকল কার্যক্রম অবৈধ। তার সকল কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রবিরোধী। তিনি অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের লালন করেছেন। জিয়ার মুক্তিযুদ্ধের খেতাব রাখতে দেওয়া যায় না।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ আয়োজিত ‘মুজিব শতবর্ষে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) কর্তৃক জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিলের প্রস্তাবটি যথার্থ। বাংলার মানুষ সুযোগ পেলে অনেক আগেই সেটি বাতিল করত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডটি কোন ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড নয়। এটি বাংলাদেশকে হত্যা করার পরিকল্পনা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা সংগ্রামের বীরত্বগাঁথা ও ইতিহাসকে উল্টোপথে নেওয়া হয়েছে। এরশাদ, খালেদা জিয়া একই পথে হেঁটেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে যারা দেশ চালাতে চেয়েছিলেন তারা ব্যর্থ হয়েছেন। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হচ্ছি। উন্নত দেশের স্বপ্ন দেখছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সক্ষম হব।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পাইনি। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ছিলাম না। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে পারিনি। আমরা মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম। বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে যা পেয়েছি; মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ গড়তে চাই। আমরা রাজনীতি করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাড. এস কে সিকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব ড. নাসির উদ্দিন খান।