প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সচিবালয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। উপদেষ্টা, সচিব ও সংস্থাপ্রধান ছাড়া অন্য কারও গাড়ি সচিবালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। স্থায়ী পরিচয়পত্র দেখিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশের পর অফিস করেছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
২৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ওই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর রোববার (২৯ ডিসেম্বর) প্রথম কর্মদিবসে খুলেছে সচিবালয়। এরপর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রবেশে পরিচয়পত্র নিশ্চিত ব্যবস্থা আরোপ করা হয়। অতিরিক্ত সচিব থেকে নিচের দিকের কর্মকর্তারা প্রবেশপথে গাড়ি ছেড়ে দিয়ে পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন।
জরুরি দর্শনার্থীদের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আব্দুল গনি রোডে পৃথক বুথ চালু করা হয়। ১ নম্বর গেট দিয়ে ঊর্ধ্বতনেরা গাড়ি নিয়ে ঢোকেন। ২ নম্বর ও ৫ নম্বর গেট দিয়ে অন্যরা পায়ে হেঁটে প্রবেশ করেন।
১ নম্বর গেটে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা হাসান তারেক সাংবাদিকদের বলেন, উপদেষ্টা, সচিব, সংস্থাপ্রধান ও অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে নিয়োজিত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কোনো কর্মকর্তাকে গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, আগামীকাল সোমবার থেকে সাংবাদিকেরা অস্থায়ী পাস নিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।
সচিবালয়ে প্রবেশে অস্থায়ী প্রবেশ পাসের জন্য আবেদন গ্রহণের লক্ষ্যে একটি ‘বিশেষ সেল’ গঠন করেছে সরকার। সেল গঠন করে গতকাল শনিবার অফিস আদেশ জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। উপসচিব মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রশাসন-১ শাখা থেকে এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য অস্থায়ী প্রবেশ পাসের আবেদন গ্রহণ করার নিমিত্তে ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার, ডিএমপি, ১৫ আব্দুল গণি রোড, ঢাকায় “অস্থায়ী প্রবেশ পাস–সংক্রান্ত বিশেষ সেল” গঠন করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের দুই কর্মকর্তা/কর্মচারীকে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেই সেলে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশক্রমে সংযুক্ত করা হয়েছে।সংযুক্ত দুই কর্মকর্তা/কর্মচারী হলেন সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রশাসন-৩ শাখায় সংযুক্ত) এফ এম তৌহিদুল আলম ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক (সচিবালয় নিরাপত্তা শাখা) মৃত্যুঞ্জয় বাড়ৈ।
বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সাত সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়। সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রশাসন ও শৃঙ্খলা শাখার এক অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
অফিস আদেশে বলা হয়, কমিটি প্রয়োজনে এক বা একাধিক সদস্য যুক্ত (কো-অপ্ট) করতে পারবে। কমিটি আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ খালেদ রহীম। তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন)। সদস্যসচিব গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (যুগ্ম সচিব পদ মর্যাদার নিচে নয়)। কমিটির সদস্য জননিরাপত্তা বিভাগের প্রতিনিধি (যুগ্ম সচিব পদ মর্যাদার নিচে নয়), দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (যুগ্ম সচিব পদ মর্যাদার নিচে নয়), স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতিনিধি (যুগ্ম সচিব পদ মর্যাদার নিচে নয়), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের প্রতিনিধি। কমিটির কার্যপরিধি সম্পর্কে বলা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের উৎস ও কারণ উদ্ঘাটন, অগ্নিদুর্ঘটনার পেছনে কারও ব্যক্তিগত বা পেশাগত দায়দায়িত্ব আছে কি না, তা উদ্ঘাটন এবং এ-জাতীয় দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সুপারিশ করা।
ফায়ার সার্ভিস অফিস জানায়, তারা আগুন লাগার খবর পায় বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে। দিবাগত রাত ১টা ৫৪ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট কাজ করে। পরে ইউনিটের সংখ্যা বাড়ানো হয়। সবশেষ ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছিল। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আর দুপুর পৌনে ১২টায় আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার ২৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম তলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে এবং ভবনটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ রয়েছে।
জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে মামাতো-ফুফাতো ভাই তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে পৌর শহরের ছনকান্দা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থীরা হলো- ছনকান্দা এলাকার রাজা মিয়ার ছেলে রুশমান (১৫), এজাজ মিয়ার ছেলে রাহী (১৫) এবং ঢাকার ফরিদ মিয়ার ছেলে আফিফ আহমেদ (১৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেলে রুশমান, তার চাচাতো ভাই রাহী, ফুফাতো ভাই আফিফ আহমেদসহ আট জন চাচাতো-মামাতো-ফুফাতো ভাইবোন জামালপুর পৌরসভার ছনকান্দা এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে নামে। এসময় গোসল করার সময় রুশমান, রাহী, এবং আফিফ আহমেদ পানিতে তলিয়ে নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পর্যায়ক্রমে নিখোঁজ রুশমান, রাহী ও আফিফের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত রুশমান ও রাহী জামালপুর জিলা স্কুলে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই। তাদের ফুফাতো ভাই ঢাকার রেপারেটরী স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আফিফ আহমেদ জামালপুরের ছনকান্দায় নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। তিন কিশোরের একসাথে এমন মৃত্যুতে পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আমাদের ডুবুরি দল পানিতে নেমে পরপর তিনটি মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনাত শহিদ পিংকি জানান, ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে নিখোঁজ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কীভাবে তাদের মৃত্যু হলো এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন মৃত্যুর ঘটনা না ঘটে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম পিটিআই অডিটরিয়ামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে সচেতন নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে সম্প্রীতি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, চট্টগ্রামে সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য চট্টগ্রামের সমাজের প্রত্যেকটা স্তরের মানুষকে অনুরোধ করছি। আমি যে ক্লিন সিটি বা পরিচ্ছন্ন চট্টগ্রামের কথা বলছি সেটার উদ্দেশ্য শুধু ড্রেন বা ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার নয়, মানুষের হৃদয় পরিষ্কার করাও বটে। সবাইকে শান্তির শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সবার মন মানসিকতা পরিষ্কার করে প্রতিটা ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রেখে চলতে হবে আমাদের।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের দুটি চরন “গাহি সাম্যের গান-যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান, যেখানে মিশেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম ক্রিশ্চান” স্মরণ করিয়ে বলেন, আমাদের এই সাম্যের বন্ধনে আবদ্ধ থাকতে হবে। এই দেশ আমাদের। এই দেশে আমাদের থাকতে হবে এবং মরতে হবে। কাজেই এ দেশকে ভালোবাসতে হবে। যেভাবে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমার ভাইয়েরা দেশকে ভালোবেসেছিল, যেভাবে ১৯৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ভালোবেসেছিল, এবং যেভাবে ২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছাত্ররা দেশকে ভালোবেসেছিল, সেই একইভাবে আমাদের এই সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও দৃঢ় করতে হবে। আমাদের একটাই পরিচয় হওয়া উচিত—আমরা সবাই বাংলাদেশী। এই মনোভাব যখন আমাদের মধ্যে থাকবে, তখন সম্প্রীতির বন্ধন ছাড়া অন্য কোনো প্রশ্ন উঠবে না।
জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম তার বক্তব্যে বলেন, তিনি চট্টগ্রামে মানুষের মাঝে যে পারস্পরিক ঐক্য দেখেছেন তা উদাহরণ হিসেবে পরবর্তী কর্মস্থলে গিয়েও চট্টগ্রামে মানুষের সম্প্রীতির কথা যাতে বলতে পারবেন। সম্প্রীতি বজায় রেখে জন্ম,বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষ সবাইকে মানুষ হিসেবে পরিচয় দেয়ার গুরুত্বারোপ করেন তিনি। সভায় বক্তারা ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে একটা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার ব্যাপারে ইস্পাত-দৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলতে ঐক্যমত প্রকাশ করেন।
সভায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি মো. কামাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদা খানম, জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম, রায়হান উদ্দিন খান,পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম মহানগরের জামায়াতে আমির শাহজাহান চৌধুরী, মাওলানা নাসির উদ্দিন মুনির, যুগ্ম-মহাসচিব হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটি, চট্টগ্রাম, জেসমিন আরা সুলতানা পারু, প্রধান নির্বাহী, ইলমা, রাজীব ধর তমাল, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, পি.কে বড়ুয়া, বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতা অধ্যাপক উপানন্দ মহাথের, নব পন্ডিত বিহারসহ বিভিন্ন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় বাস চাপায় ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় বাস চালক মো. নুরুদ্দীন আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাস মালিক ডাব্লিউ বেপারীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মুন্সীগঞ্জের হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক মো. আব্দুর রহমান আসামি নুরুদ্দিনকে ঢাকার চিফ জিডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপর আসামি ডাব্লিউ বেপারীকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদুল ইসলামের আদালত আসামি নুরুদ্দিনের জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে বাস মালিক ডাব্লিউ বেপারীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে বাসচালক নুরুদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। গত শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মাদারীপুরের শিবচর থেকে ডাব্লিউকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ২৭ ডিসেম্বর মামলার বাদী নুরুল আমিনের বোনের পরিবার প্রাইভেটকারে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ যাওয়ার পথে ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় টোল দেওয়ার জন্য বেলা সোয়া ১১ টার দিকে অপেক্ষায় ছিল। অভিযোগ করা হয়, এসময় বেপারী পরিবহন বেপরোয়া বাস টোল দেওয়ার সময় প্রাইভেটকারকে পিছন দিক হতে বেপরোয়া গতিতে ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। প্রাইভেট কারে থাকা একই পরিবারের ৪ জনসহ ৬ জন নিহত হন।
এ ঘটনায় গত ২৮ ডিসেম্বর নিহত আমেনা আক্তারের ভাই মো. নুরুল আমিন বাদী হয়ে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।