গৌরীপুরে মেয়র ও এমপিপুত্রের সমর্থকদের সংর্ঘষ

, জাতীয়

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) | 2023-08-30 01:23:58

ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য তানজির আহমেদ রাজীবের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রাজীব ময়মনসিংহ-৩ গৌরীপুর আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদের ছেলে।

রোববার (০৭ মার্চ) দুপুরে গৌরীপুর পৌর শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম ও তানজির আহমেদ রাজীব পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। মেয়রের অভিযোগ, তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে হামলা করে রাজীবের সমর্থকরা। অপরদিকে রাজীবের অভিযোগ, ৩০ জানুয়ারি পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচন করায় পরিকল্পিতভাবে তার উপর হামলা করে মেয়রের সমর্থকেরা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৭ মার্চ উপলক্ষে রোববার বেলা ১২টার দিকে মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম কাউন্সিলর ও সমর্থকদের নিয়ে  পৌর শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বরে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর মুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবদেন শেষে মেয়র তার সমর্থকদের নিয়ে পৌর শহরের বাস টার্মিনাল এলাকার পৌরসভা কার্যালয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর রাজীব বাস টার্মিনাল এলাকায় আসলে মেয়র সমর্থক ও রাজীবের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাধে। 

স্থানীয়রা জানান, এ সময় গুলির শব্দ শুনেছেন তারা। খবর পেয়ে গৌরীপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে বেলা ২টার দিকে মেয়রের সমর্থকরা পৌর শহরের বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে বিকালে মেয়রের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আমাকে মিথ্যা মামলায় আসামি করায় আমি দলের মনোনয়ন পাইনি। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে জয়ী হই। নির্বাচনে আমাকে পরাজিত করতে না পেরে আমাকে হত্যার জন্য রাজীবের পরিকল্পনায় হামলা করা হয়। হামলার সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা (পুলিশ) নিরব ভূমিকা পালন করে।’

অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেন তানজির আহমেদ রাজীব বলেন, ‘মেয়রের উপর হামলা অভিযোগ সত্য নয়। ৭ মার্চ উপলক্ষে আমি গৌরীপুর আসছিলাম।  কিন্তু গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনে আমি নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচন করায়  মেয়র ও তার সমর্থকরা আমাকে গৌরীপুরে যেতে বাধা দেয় এবং আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমার আট জন সমর্থক আহত হয়েছে। বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর হয়েছে।’

গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান হালিম সিদ্দিকী বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করে। বিকাল পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। পুলিশের নিরব ভূমিকার অভিযোগ হচ্ছে সত্য নয়। ঘটনার সময় পুলিশ পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে মেয়রের লোকজন পুলিশের সাথে খারাপ আচরণ করে।’

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর