জনস্বাস্থ্যের ‘রাঘব বোয়াল’ মশিউর, টেন্ডার দিতে ব্যাংকের মাধ্যমে ঘুষ নিয়েও প্রতারণার অভিযোগ



অভিজিত রায় কৌশিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জনস্বাস্থ্যের ‘রাঘব বোয়াল’ মশিউর, টেন্ডার দিতে ব্যাংকের মাধ্যমে ঘুষ নিয়েও প্রতারণার অভিযোগ

জনস্বাস্থ্যের ‘রাঘব বোয়াল’ মশিউর, টেন্ডার দিতে ব্যাংকের মাধ্যমে ঘুষ নিয়েও প্রতারণার অভিযোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

# টেন্ডার নিতে জমা দিতে হয় ব্যাংকে ঘুষ পরিশোধের স্লিপ

# হাওর প্রকল্পে কাজ না করে টাকা উত্তোলন

# ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জামালপুরে বাড়ি নির্মাণ

# স্টাফ ও ঠিকাদারদের সাথে গালিগালাজ, প্রাণনাশের হুমকি

নেত্রকোনা জেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মশিউর রহমান। যার দাপটে তটস্থ নেত্রকোনা জেলায় অবস্থিত সরকারি এই দফতরটি। টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে তার বিরুদ্ধে রয়েছে এন্তার অভিযোগ।

কাজ না করে অর্থ আত্মসাৎ, টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে ঘুষ নেওয়াসহ অফিস স্টাফ ও ঠিকাদারদের সাথে অশালীন আচরণ ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জামালপুরে বাড়ি নির্মাণ করছেন বলেও অভিযোগ ওঠেছে। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান। তার বিরুদ্ধে কেউ চক্রান্ত করছে বলে দাবি তার।

এক অভিযোগকারীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনার মদন ও খালিয়াকুরী উপজেলার ৩০টি ওয়াশব্লক মেরামত কাজের টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে বুয়েট শাখার সোনালী ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ঘুষ বাবদ ৩ লাখ টাকা নেন তিনি। টাকা নিয়েও কাজ না দিলে সেই টাকা ফেরত চাইলে তার উপর চড়াও হন তিনি। চিফ ইঞ্জিনিয়ার বরাবর অভিযোগ দিলে মশিউর দম্ভ করে বলেন, যা খুশি কর, ওইসব চিফ ইঞ্জিনিয়ার আমার কিছুই করতে পারবে না।

এছাড়াও কলমাকান্দাতে হাওর প্রকল্পের ৫০টি নলকূপ বসানোর কাজ না করেই বিল উত্তোলন করাসহ ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জামালপুরে বাড়ি নির্মাণ করা ও বিভিন্ন কারণে স্টাফ এবং ঠিকাদারদের সাথে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল ও প্রাণে মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নেত্রকোনা জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, এই অভিযোগ ভুয়া। যে অভিযোগ করেছে ওই নামের কাউকে আমি চিনিও না, জানিও না।

ব্যাংকের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্টে যে টাকা দেওয়া হয়েছে তার রশিদ অভিযোগপত্রে সংযুক্ত রয়েছে, আপনি যদি তাকে না চেনেন, তাহলে আপনার অ্যাকাউন্টে অপরিচিত কেউ কেন এত টাকা দিলো, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই টাকাটা আমার স্টাফ জমা দিয়েছে। সেখানে একটা সাক্ষর আছে, সেটা আমার হিসাব সহকারীর। যদি সেই ঠিকাদার জমা দিতো, তাহলে তো তার সাক্ষর থাকতো। আমার হিসাব সহকারীর সাক্ষরতো আর থাকতো না।

আপনার হিসাব সহকারী বা আপনার অফিসের স্টাফ যদি টাকা জমা দেয়, তাহলে সেই টাকা জমার রশিদ কীভাবে অন্য কারো হাতে গেল, এমন প্রশ্নের জবাবে মশিউর বলেন, এটাতো আমি জানি না। এটা আমারও প্রশ্ন। কারণ ওই স্লিপটা আমার কাছেও আছে। 

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর ঠিকাদার হাজী আব্দুল ওহাবের লিখিত ‘নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান এর নগদ টাকা নিয়ে কাজ না দেওয়া প্রসঙ্গে অভিযোগ (প্রমাণক সংযুক্ত)’ অভিযোগে বলা হয়, ‘আপনার নিকট নিবেদন এই যে, আমি নেত্রকোনা জেলার একজন ৩য় সারির ঠিকাদার। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ছোট ও মাঝারি মানের কাজে অংশগ্রহণ করি। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, নেত্রকোনার নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব মশিউর রহমান এর কাছে কাজের কথা বললে তিনি মদন ও খালিয়াকুরী উপজেলার ৩০টি ওয়াশব্লক মেরামত কাজের প্রাক্কলন দেখিয়ে বলেন, এই কাজটি আপনাকে দিবো আপনি প্রস্তুতি নেন, ই-জিপি ( E-GP) সিস্টেমে কিভাবে কাজ দিবেন এইটা বললে তিনি বলেন ম্যানুয়াল টেন্ডার করে কোটেশন করবো।, আপনি কাজটি করতে চাইলে আমাকে ৩ লাখ টাকা দিতে হবে, তিনি আমাকে সোনালী ব্যাংক, বুয়েট শাখার একটি হিসাব নম্বর ৪৪০৪০৩৪১৬৬১২৪, দেন। ওই ঠিকানায় টাকা প্রেরণপূর্বক মূল স্লিপ তাকে দিতে বলেন। কথা অনুযায়ী গত ৩ এপ্রিল তারিখে সোনালী ব্যাংক নেত্রকোনা শাখায় গিয়ে টাকা জমা প্রদান করি এবং মূল স্লিপ উনাকে জমা দিয়ে ওয়ার্কঅর্ডার দিতে বলি।’

অভিযোগে হাজী আব্দুল ওহাব আরও লেখেন, ‘উনি (মশিউর) ৮ তারিখে দেখা করতে বলেন। ৮ তারিখে উনার কাছে গেলে উনি বলেন, এখন একটু সমস্যা হইতেছে মাস দুয়েক দেরি করেন। আমার অনেক কষ্টের টাকা আমি ফেরত চাইলে আমার উপর তেড়ে আসেন এবং আমাকে বলেন যা খুশি কর ওইসব চিফ ইঞ্জিনিয়ার আমার কিছুই করতে পারবে না। তৎক্ষণাৎ চিফ ইঞ্জিনিয়ার স্যারকে কল দিলে উনি ফোন কেটে দেন। আমি ঠিকাদার শফিক ভাইয়ের সাথে আলাপ করলে তিনি সচিব বরাবর অভিযোগ দিতে বলেন। শফিক ভাই আরও বলেন হাওর প্রকল্পের অনেক অনিয়ম করেন তিনি, কলমাকান্দা উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার উনার খাস লোক এবং একই এলাকার, কলমাকান্দাতে হাওর প্রকল্পের ৫০টি নলকূপ বসানোর কাজ না করেই বিল উত্তোলন করেছেন, আরও জানতে পারি ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তিনি জামালপুরে বাড়ি নির্মাণ করতেছেন। তিনি ভীষণ ধরনের বদমেজাজি, অফিস স্টাফদের সাথে এবং ঠিকাদারদের সাথে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং মারার হুমকি দেন, শুনেছি।’

তিনি অভিযোগপত্রে আরও বলেন, ‘নেত্রকোনা জনস্বাস্থ্যের প্রকৌশলী মশিউর বুয়েটের ছাত্রদলের নেতা ছিলেন। দপ্তরে অভিযোগ দিলে কোনো কাজ হয় না, তাই বাধ্য হয়েই আপনার বরাবর আবেদন করলাম। প্রমাণক হিসেবে উনার নিজ হিসাব নম্বরে তিন লাখ টাকা জমাদানের ব্যাংক স্লিপ এর ফটোকপি সংযুক্ত করিলাম। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আকুল আবেদন জানাইতেছি।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো.আব্দুল আউয়াল বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি এসব অভিযোগের বিষয়ে জানি না। আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে বিষয়টি দেখব।

তিনি বলেন, তবে আমার মনে হয় না আসলে বিষয়টা এমন। অনেকতো দুষ্টবুদ্ধির লোক আছে না? ব্যাংকের স্লিপের বিষয়টা শুনেছিলাম। তবে তার মানে এই না যে, এই টাকাটা সে ওখান থেকে নিয়েছে। যারা ঘুষ নেয়, আমার যেটা মনে হয় তারা ব্যাংকের মাধ্যমে ঘুষ নেয় না। 

   

রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত কুড়িগ্রামের বিদ্যুৎ সংযোগ, জনজীবনে দুর্ভোগ

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে গতকাল (সোমবার) থেকেই প্রভাব পড়তে শুরু করে। বিশেষ করে গতকাল বিকেল থেকে দমকা হাওয়ার সাথে ভারী বৃষ্টি শুরু হওয়ায় থমকে যায় কুড়িগ্রামের জনজীবন।

গতকাল (২৭ মে) রাতের ঝড়ো বাতাসের কারণে রাত ১০টার পর থেকে বন্ধ থাকে প্রায় পুরো জেলার বিদ্যুৎ সংযোগ। মঙ্গলবার (২৮ মে) এখন পর্যন্ত (সকাল ১১ টা) জেলার ৯টি উপজেলার মাত্র ২ টিতে প্রায় পুরোপুরি বিদ্যুৎ লাইন সচল করতে পেরেছে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ। অপরদিকে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ৯টি ফিডারের মধ্যে ৫টি ফিডার চালু করতে পেরেছে নেসকো। রাতে সর্বোচ্চ বাতাসের গতিবেগ রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং গত ২৪ ঘন্টায় ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া অফিস ও বিদ্যুৎ অফিসে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

লালমনিরহাট-কুড়িগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. মহিতুল ইসলাম জানান, 'গতকাল রাতের ঝড়ে প্রায় সব উপজেলার বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাঠে আমাদের কর্মীরা কাজ করছে। সরেজমিনে গিয়ে বিদ্যুতের লাইনের পরিস্থিতি দেখে তারপর চালু করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলার ১৫টি সাবস্টেশনের এর মধ্যে ১২টি চালু করা হয়েছে। তবে চালু হওয়া সাবস্টেশনগুলোর আওতায় সকল লাইন চালু নেই। আশা করছি দুপুর ২টা নাগাদ প্রায় সকল লাইন চালু করা সম্ভব হবে। এটা নির্ভর করবে লাইন কি পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার উপর।'

নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) এর কুড়িগ্রাম অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান জানান, 'নেসকো'র অধীনে থাকা ৯টি ফিডারের ৫ টি চালু করা হয়েছে। বাকিগুলো দ্রুত চালু করার কাজ চলছে।'

এদিকে রাত ১০টা থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় কুড়িগ্রাম শহরেই ছাত্রাবাসগুলোতে তীব্র পানির সংকট দেখা দিয়েছে। জরুরী প্রয়োজনের পাশাপাশি খাবার পানির তীব্র সংকটে রান্না হচ্ছেনা ছাত্রাবাসগুলোতে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাতে সর্বোচ্চ বাতাসের গতিবেগ রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। অপরদিকে আজকে (মঙ্গলবার) ঝড়ো হাওয়ায় সম্ভাবনা না থাকলেও হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে রংপুর আবহাওয়া অফিস। বুধবার থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার কথাও জানিয়েছে তারা।

;

ঝড়ে উদ্ধার কাজ করতে গিয়ে ফায়ারফাইটারের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে পড়ে যাওয়া গাছ কাটার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাসেল হোসেন (২১) নামে একজন ফায়ারফাইটারের মৃত্যু হয়েছে। 

সোমবার (২৭ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১২  ফায়ারফাইটার রাসেল খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার। 

তিনি জানান, সোমবার সারাদেশে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় রেমালের ফলে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার আলুটিলা এলাকায় গাছ পড়ে যায়। রাত ১০টার সময় সংবাদ পেয়ে খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যায় এবং গাছ অপসারণ করতে থাকে। গাছ অপসারণের এক পর্যায়ে আকস্মিক বিদুৎ চলে আসায় ফায়ারফাইটার রাসেল বিদ্যুতায়িত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিসাধীন অবস্থায় রাসেলকে মৃত্যুবরণ করেন।

রাসেল হোসেনের আকস্মিক মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

ফায়ারফাইটার রাসেল হোসেন-এর বাড়ি ঢাকার ধামরাইয়ের বাসনা গ্রামে। তিনি ২০২৩ সালে একজন ফায়ারফাইটার হিসেবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে যোগদান করেন।

;

বৈরী আবহাওয়ার পর সৈয়দপুরে বিমান চলাচল স্বাভাবিক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সৈয়দপুরে বৈরী আবহাওয়ার পর বিমানবন্দরে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সুপ্লব কুমার ঘোষ। এতে সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

তিনি বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে গতকাল দুপুর থেকে বিমান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে ছয়টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। বাতিল হওয়া ফ্লাইটগুলার মধ্যে বাংলাদেশ বিমানের একটি, ইউএস-বাংলার একটি ও নভোএয়ারের একটি করে আরও তিনটি ফ্লাইট রয়েছে। আজ সকালে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

;

মোবাইল কিনতে বাবার ট্রাঙ্ক থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ঢাকায় শিশু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে বিভিন্ন মোবাইল ফোন বিক্রেতাদের ভিডিও দেখে ১০ বছরের শিশু জানতে পারে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বসুন্ধরা শপিং মলে মোবাইল ফোন কিনতে পাওয়া যায়। এই ভিডিও দেখে ট্রাঙ্ক থেকে বাবার ব্যবসার ৫০ হাজার টাকা চুরি করে শেরপুর থেকে ঢাকায় আসে ওই শিশু। পরবর্তীতে মার্কেটের নিরাপত্তা কর্মীরা শিশুটিকে সন্দেহ জনক ঘোরাঘুরি করতে দেখে রোববার (২৬ মে) রাতে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

সোমবার (২৭ মে) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।

তিনি বলেন, রোববার রাতে বসুন্ধরা শপিং মলের নিরাপত্তা কর্মীদের তথ্যের ভিত্তিতে এক শিশুকে হেফাজতে নেওয়া হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটি জানায়, ইউটিউবে দেখে ঢাকার বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নিত্যনতুন মোবাইল সেট পাওয়া যায়। তখনই সে ঢাকায় এসে মোবাইল কেনার পরিকল্পনা করে। প্রথমে সে তার বাসা থেকে কাউকে কিছু না বলে বাবার জমানো ৫০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে জিজ্ঞেস করে প্রথমে শেরপুর থেকে ঢাকা মহাখালী আসে। মহাখালীতে নেমে একইভাবে মানুষকে জিজ্ঞেস করতে করতে কারওয়ান বাজার বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে চলে আসে। এখানে এসেই মোবাইল দোকানের সামনে ঘুরঘুর শুরু করে। তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে মার্কেটের নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এসময় তার সঙ্গে এতগুলো টাকা দেখে নিরাপত্তাকর্মীরাও ভড়কে যান। এরপর তারা পুলিশকে জানালে পুলিশ শিশুটিকে হেফাজতে নেয়।

ওসি মহসীন আরও বলেন, শিশুটি দূরন্ত টাইপের। সে মোবাইল কেনার জন্য ঘরের ট্রাঙ্কে বাবার ব্যবসার জন্য রাখা টাকা নিয়ে ঢাকা চলে আসে। পরে শিশুটিকে তার চাচার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

;