মাগুরা সদরের বারাশিয়া জামে মসজিদকে ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করে দিয়েছেন বিশ্বসেরা ক্রিকেটার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। নতুন রূপে সুসজ্জিত মসজিদে টাইলস, কার্পেট, এসি (এয়ার কন্ডিশন) ব্যবস্থা করে দেয়ায় এলাকার মানুষ দারুন খুশি।
মসজিদের ইমাম হাফেজ মুফতি আতিকুল্লাহ জানান, আগে মসজিদের জায়গা সংকীর্ণ হওয়ায় সেখানে শতাধিক মুসল্লি একসাথে নামাজ আদায় করতে পারতেন না। এখন একসাথে প্রায় তিন’শ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারছেন।
এছাড়া সাকিব আল হাসান মসজিদটি দ্বিতীয় তলা করা এবং মসজিদটির সাথে একটি মডেল মাদ্রাসা করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন বলে জানান তিনি।
বারাশিয়া গ্রামবাসী আবু তালহা জানান, সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ ক্রিকেটের উজ্জল নক্ষত্র। যিনি এ দেশকে সারা বিশ্বের কাছে আলাদা পরিচিতি এনে দিয়েছেন। দেশকে সাফল্য এনে দিচ্ছেন। মসজিদটি ছোট ছিল। সাকিব আল হাসান মসজিদটি বড় করেছেন। মসজিদটি এখন সুসজ্জিত। তার জন্য আমাদের অফুরন্ত দোয়া থাকবে। বারাশিয়া এলাকায় তার নানা বাড়ি।
বারাশিয়া এলাকার বাসিন্দা আতাউর রহমান জানান, বারাশিয়া জামে মসজিদটি ১৯৮২ সালে নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে মসজিদে জায়গা সংকীর্ণ ৪ কাতারে একশ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারতেন না। বিষয়টি সাকিব আল হাসানকে জানালে তিনি মসজিদটি পুণঃনির্মাণ করে সুসজ্জিত ও আধুনিকায়ন করার আশ্বাস দেন। তার কথা অনুযায়ী নিজের অর্থায়ানে প্রায় ২৫-৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে মসজিদটি নতুন করে নির্মাণ করে দিয়েছেন।
সাকিবের ছোট মামা বারাশিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মোহাম্মদ বাবলুর রহমান জানান, সাকিব আল হাসান মসজিদটি নিজস্ব তত্বাবধানে নির্মাণ করেছেন বলে জানিয়েছেন। গত বছরের এপ্রিল মাসে মসজিদের উদ্বোধন করা হলেও সাকিব বিষয়টি প্রচার করতে চাননি।