ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় তিন মামলা, আসামি সাড়ে ছয় হাজার

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া | 2023-08-24 19:37:00

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদরাসাছাত্রদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সাড়ে ছয় হাজার অজ্ঞাত লোককে আসামি করে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে পুলিশের পক্ষ থেকে বাদি হয়ে সদর মডেল থানায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়। এর মধ্যে পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও সদর মডেল থানার ২নং ফাঁড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাদি হয়ে দুটি এবং জেলা সদরের মেড্ডা এলাকায় ভাঙচুরের ঘটনায় ২নং ফাঁড়ির এসআই মোসলেহ উদ্দিন বাদি হয়ে আরও একটি মামলা করেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয় এবং সদরের পুলিশ ফাঁড়ির হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলা দুটিতে অজ্ঞাত পাঁচ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। আর মেড্ডার মামলায় আসামি দেড় হাজার। ইতিমধ্যে এ ঘটনায় ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, বিকেল ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলাগুলো নথিভুক্ত করা হয়েছে। অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষও আলাদা আলাদা মামলা করবে।

এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে মাদরাসাছাত্ররা। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এরপর শহরের কাউতলি এলাকায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়েও হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা। এ ঘটনায় আশিক (২০) নামে এক যুবক আহত হন। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আশিক জেলা সদরের দাতিয়ারা এলাকার সাগর মিয়ার ছেলে। এই ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ২নং ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) নূরে আলমসহ অন্তত আরো ২০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে নূরে আলমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর