করোনা ঠেকাতে বিধিনিষেধ কার্যকর করতে ফরিদপুরের সালথায় লোকজনকে পেটানো হয়েছে—এমন অভিযোগে সোমবার রাতে থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্স ঘেরাও করে স্থানীয় লোকজন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সোমবার বিকেলে উপজেলা সদর থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরের ফুকরা বাজার থেকে ঘটনার সূত্রপাত।
স্থানীয় সূত্রের ভাষ্য অনুযায়ী, করোনা ঠেকাতে বিধিনিষেধ কার্যকর করতে দুই আনসার সদস্য ও ব্যক্তিগত সহকারীকে নিয়ে এসি ল্যান্ড মারুফা সুলতানা ফুকরা বাজারে যান। সে সময় চা পান করতে আসা জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে লাঠিপেটা করা হয়েছিল বলে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ। এই ঘটনার জেরে পরে ফুকরা বাজারে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গুজব ছড়িয়ে পড়ে পুলিশের গুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন। এমন গুজবে শত শত মানুষ এসে থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্স ঘেরাও করেন।
সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. খায়রুজ্জামান বলেন, ‘এসি ল্যান্ড ফুকরা বাজারে লকডাউন কার্যকর করতে আসার আগে বাজার কমিটির সঙ্গে বসা উচিত ছিল। তাদের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের বুঝিয়ে লকডাউন কার্যকর করা হলে এ ঘটনা ঘটত না।’
তবে এসি ল্যান্ড জানান, তিনি রুটিন ওয়ার্কে বিভিন্ন বাজারে গিয়েছিলেন। এর অংশ হিসেবে ফুকরা বাজারে যান। সেখানে দুটি দোকান খোলা ছিল, তাদের বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। পেটানোর কোনও ঘটনা ঘটেনি।
সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে তিনি জানান, উপজেলা কমপ্লেক্সে থাকা ইউএনও হাসিব সরকার ও তার গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ফুকরা বাজারে পুলিশের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) ও দুজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন।
নগরকান্দা ও সালথা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুমিউর রহমান বলেন, ‘সাধারণ মানুষের আড়ালে মৌলবাদী গোষ্ঠী এ সুযোগ নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালেও হামলা করা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছি।’