‘পলাইয়া কয় দিন বাঁচোন যাইবো’

, জাতীয়

মহিউদ্দিন আহমেদ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 15:44:34

ষাটোর্ধ্ব হাবিবুর রহমান অন্যান্য দিনের মতই ভোর বেলা থেকে সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রির জন্য। কিন্তু বিক্রি আশানুরূপ হচ্ছে না। চোঁখে মুখে হতাশার ছাপ। ছোট্ট এই সবজি দোকানের আয় দিয়ে চলে ৫ জনের সংসার। রমজান মাসে সাধারণত তাদের বিক্রি বাট্টা ভালো হয় কিন্তু এবারের রমজানের শুরুটা তাদের জন্য কিছুটা হতাশার।

বিক্রি কেন কম হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে হাবিবুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, লকডাউনের জন্য সব লোক বাড়িতে গেছে গা, মানুষ তো নাই বাবা, তাই বেঁচা নাই। সবজি বিক্রেতা হাবিবুর রহমানকে হাতে হাত লাগিয়ে সাহায্য করেন তার পত্নী। কথা বলার সময় তিনি তার পাশেই ছিলেন। তিনি যোগ করেন, মেসের পোলাপাইন সব বাড়িতে গেছে আর বাসা বাড়িতে যারা আছে তারাও বাসার সামনের ভ্যান গাড়ি থেকেই সবজি কিনে। বাজারে বেশি আসে না। বিক্রি অনেক কম বাবা।

কুড়ির চৌরাস্তার গলির ভিতর হাবিবুর রহমানের দোকানের পাশেই আরও দুটি সবজির দোকান ছিল। তার মধ্যে একটি লকডাউনের দিন থেকেই খুলছে না। দ্বিতীয় দোকানটিও লকডাউনের প্রথম দিন খোলা ছিল কিন্তু আজ বন্ধ। প্রতিযোগিতা নেই তবুও মন খারাপ তাদের। রোজার শুরু বলে গতকালই ৩০ কেজি শসা এনেছিলেন বিক্রির জন্য। তার থেকে আজকে রোজার দ্বিতীয় দিনেও ১৪ কেজি আছে। অন্য সময় হলে ৩০ কেজি শসা রোজার প্রথম বেলাতেই বিক্রি হয়ে যায়। কিন্তু এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। তবুও হতাশ নন হাবিবুর রহমান দম্পতি।

তাদের কথা বাঁচলে বাবা ব্যবসা হবে। কিন্তু যেই জিনিস আইছে অহন এইডা থেইক্কা বাঁচনের উপায় কি? পলাইয়া কয় দিন বাঁচোন যাইবো।

এ সম্পর্কিত আরও খবর