আট বছর আগে এইদিনে ঢাকা সভারের রানা প্লাজা নামের বহুতল ভবন ধসে পড়েছিল। এ ঘটনায় নিখোঁজ হয়েছেন গাইবান্ধার দামোদরপুর এলাকার কামনা বেগম (২৫)। নিখোঁজের ৮ বছরেও তাকে খুঁজে পাইনি স্বজনরা। আজও এই মেয়ের সন্ধানে নির্ঘুম রাত কাটে মা মফিজানের।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) গাইবান্ধার কান্তনগরের কিশামত দশলিয়া গ্রামে দেখা যায় নিখোঁজ কামনার মা মফিজানের আর্তনাদ। এসময় মেয়ের ছবি বুকে নিয়ে অঝড়ে কাঁদলিনে তিনি।
জানা যায়. দরিদ্র পরিবারের কাশেম আলীর মেয়ে কামনা বেগম (২৫)। পরিবারের অভাব ঘোচাতে চাকুরি নিয়েছিলেন রানা প্লাজায়। ভবনটির পঞ্চম তলার গার্মেন্টসের বি-লাইনে হেলপার হিসেবে কাজ করছিলেন। এ শিল্পে ৬ মাস চাকুরি করার পর ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিলে রানা প্লাজা ভবনটি ধসে পড়ে। এসময় ভবন ভাঙনের কবলে পড়ে নিখোঁজ হয় কামনা বেগম। এরপর স্বজনরা বিভিন্নভাবে খুঁজতে থাকে কামনাকে। ব্যাপক খোঁজাখুঁজি করার পরও তাকে জীবিত কিংবা মৃতদেহও পাওয়া যায়নি। হৃদয় বিদারক এ ঘটনার ৮ বছর পার হলেও, স্বজনরা সন্ধান পায়নি কামনার। এ পরিবারের একমাত্র মেয়েকে হারানোর শোকে বৃদ্ধা মফিজান বেগমের এখনো নির্ঘুম রাত কাটে।
কান্নাজড়িত কন্ঠে মফিজান বেগম জানান, মেয়ে কামানাকে হারানোর পর থেকে রাতে ঠিকভাবে ঘুমাতে পারেন না। মাঝে মধ্যে এখনো ঢাকা সাভারে যান তিনি। সেখানে নানাভাবে খোঁজার চেষ্টা অব্যাহত রাখছেন।
দামোদরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, কামনা বেগম একজন প্রতিবেশী। এই মেয়েটিকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছে বাবা-মা। তাদের মাঝে মধ্যে শান্তনা দেবার ছাড়া আর কিছুই করার নেই।